৪১ বছর বয়সে মা হয়েছেন আরতি ছাবরিয়া। গত ৪ঠা মার্চ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী। ছেলের নাম রেখেছেন ইউভান। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে মা হওয়ার খবর জানিয়েছেন তিনি। ২০০১ সালে 'লজ্জা' ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করেন অভিনেত্রী। কেন এতদিন নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন আরতি? নেপথ্যের কারণ নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরতি বলেছেন, ছেলে ইউভানের জন্মের আগে একবার গর্ভপাত হয়েছিল তাঁর। সেই সময় গভীর ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ভীষণভাবে যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়েছিলেন। এই কারণেই তিনি এ বিষয়ে আগে কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘তবে আমি এটা নিয়ে দ্বিধা বোধ করি না কখনও। কারণ এটাই স্বাভাবিক। সর্বোপরি আমি একজন মানুষ’।
আরও পড়ুন: বিয়ের দু'মাস আগে মন ভাঙে! প্রাক্তন বাগদত্তার হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন, মুখ খুললেন সানি
বছর ৪১-এর অভিনেত্রীর আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘মানুষের এই ধারণা যে তিনি একজন অভিনেতা, এটা তাঁর জন্য সহজ, টাকা দিলেই সব হয়ে যাবে। এই যন্ত্রণা ভোলার নয়। এই চিকিৎসাগুলো আপনার শরীরকে শেষ করতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের খারাপ প্রতিক্রিয়ায় আমি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম। আমি ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ৪১ বছর বয়সে ডেলিভারি করা ততটা সহজ নয়, যতটা ২০ বা ৩০ বছর বয়সে সম্ভব’।
আরও পড়ুন: 'পুরো বোতল পান করেও পরদিন সকালে..',৭০-এর দশকের পার্টিতে রাজেশের আচরণ নিয়ে বেফাঁস রঞ্জিত
অভিনেত্রী আরও বলেন, ওই গর্ভপাত হওয়ার পর ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকমের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কারণ অনেকেই বিষয়টি বুঝে ওঠার আগে নারীদের সন্তান ধারণের জন্য বার বার চাপ দিতে থাকে। তিনি বলেন, ‘যতদিন আমি এটা নিয়ে চাপে ছিলাম, জিনিসটা হয়ে ওঠেনি। যখন আমি সত্যিই হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম, তখন আমার গর্ভাবস্থা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এটা আমার এবং আমার স্বামীর জন্য খুবই যন্ত্রণার ছিল কিন্তু একই সঙ্গে আনন্দেরও বটে’।
আরও পড়ুন: মহানায়িকার জন্মবার্ষিকী, পাবনার বাড়িতে সুচিত্রা সেনকে স্মরণ করে বিশেষ আয়োজন
ছেলে ইউভানকে কোলে নিয়ে সমস্ত যন্ত্রণা এবং সংগ্রামে প্রলেপ পড়েছে বলে জানান অভিনেত্রী। 'তুম সে অচ্ছা কৌন হ্যায়'-এ নকুল কাপুর, 'আওয়ারা পাগল দিওয়ানা'-এ অক্ষয় কুমার, 'রাজা ভাইয়া'-তে গোবিন্দা এবং 'পার্টনার'-এ সালমান খানের সঙ্গে কাজ করেছেন আরতি। তবে সেভাবে সাফল্য পাননি নায়িকা হিসেবে। এরপর হিন্দি ছেড়ে অন্য ভাষাতেও কাজের চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখান থেকেও সেভাবে আসেনি সাফল্য। এরপর নিজেকে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে সরিয়েই ফেলেন।