ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ ফাইনালে হেরে এবার নয়া বিতর্ক শুরু করলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘা। গতকাল ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে হাত না মেলানো থেকে ট্রফি বিতর্কে নিজেদের মতো করে মিথ্যা বলে গেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে সূর্যকুমার যাদবের বক্তব্যকে 'মিথ্যা' আখ্যা দিলেন সলমন। এরই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা তাঁদের ম্যাচ ফি অপারেশনে সিঁদুরে নিহতদের দান করবেন। এদিকে ভারতীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিশ্বের সামনে প্রমাণ তুলে ধরেছে যে অপারেশন সিঁদুরে ১০০-র বেশি জঙ্গি মারা গিয়েছিল। তবে সলমন আলি আঘা দাবি করেন, অপারেশন সিঁদুরে নাকি শিশু এবং মহিলারা মারা গিয়েছিল।
এদিকে হাত না মেলানো বিতর্কে সলমন আবার দাবি করেন, তিনি এমনটা এর আগে কখনও দেখেননি। এদিকে তিনি বলেন, এশিয়া কাপ শুরুর আগে অধিনায়কদের সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্যকুমার তাঁর এবং পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। এই আবহে সলমন দাবি করেন, সূর্যকে হয়ত 'নির্দেশ' দেওয়া হয় ম্যাচে পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত না মেলাতে। এদিকে বড় বড় নীতি জ্ঞান দিয়ে সলমন আরও বলেন, পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে ভারত তাঁদের অপমান করেনি বরং ক্রিকেটকে অপমান করেছেন। এদিকে ভারতের পরপর জয় নিয়ে সলমনের যুক্তি, সব ক্রিকেট দলেরই 'যুগ' থাকে। তবে তিনি আবার এও বলেন, যেভাবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা 'ক্রিকেটের অপমান' করছেন, তাতে শীঘ্রই সেই 'যুগ' শেষ হয়ে যেতে পারে। সলমন ৯০-এর দশক টেনে এনে বলেন, সেই সময় ভারতকে আমরা পরপর হারাতাম। এখন ওরা আমাদের হারাচ্ছে।
এই সবের মাঝে যখন এক সাংবাদিক সলমনকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, খেলার স্পিরিট নিয়ে তো এত কথা বললেন, তবে এর আগে আপনি কি কখনও দেখেছেন যে কোনও অধিনায়ক ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন বা প্রেজেন্টেশন বয়কট করছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সলমন আলি আঘা থতমত খেয়ে যান। পরে বলেন, সব কাজেরই প্রতিক্রিয়া হয়। তিনি বোঝাতে চান, সূর্যকুমাররা হাত না মেলানোয় সলমন এই কাণ্ড ঘটান। এদিকে পাকিস্তান কত নীতিবান, তা বোঝাতে সলমন বলেন, আমি একা একা ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়েছিলাম।
এদিকে সলমন আলি আঘাকে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এই হাত না মেলানোর বিষয় নিয়ে আইসিসির হস্তক্ষেপ করা উচিত কি না, তাতে সলমন বলেন, এশিয়া কাপে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। আইসিসির বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে দেখা উচিত। আর সাংবাদিক সম্মেলনের শেষে সলমন ম্যাচ ফি দান করার ঘোষণা করে সঙ্গে সঙ্গে উঠে যান। এরপর আর কোনও সাংবাদিককে প্রশ্ন করার সুযোগ তিনি দেননি।