এটাই হয়ত 'ঈশ্বরের পরিকল্পনা'। রিঙ্কু সিংয়ের মুখে 'গডস প্ল্যান' কথাটা অনেকেই অনেকবা শুনেছেন। তবে এই 'পরিকল্পনা' যে এত নিঁখুত হতে পারে, তা কার জানা ছিল! জাদুকররা কোনও পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আগে থেকে কাগজে কিছু লিখে রাখেন, পরে তা মিলে যায়, এমন ভেলকি হয়ত অনেকেই দেখেছেন টিভি শো-তে। তবে একজন ক্রিকেটার যে পূর্বাভাস দিচ্ছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। তবে রিঙ্কু সিং, তাই করে দেখালেন। তবে তাঁর কিন্তু তা করে দেখানোর কথাও ছিল না, যদি না হার্দিক পান্ডিয়া চোটের জন্য ছিটকে না যেতেন।
বিষয়টা কী? এশিয়া কাপ শুরুর আগেই ব্রডকাস্টার চ্যানেলের থেকে রিঙ্কু সিংয়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, টুর্নামেন্টে তিনি কী করতে চান। তখন রিঙ্কু বলেছিলেন, 'আমি ফাইনালে উইনিং রান মারতে চাই।' কথাটা তিনি একটি কার্ডে লিখেও দিয়েছিলেন ব্রডকাস্টারদের। তবে গোটা টুর্নামেন্টে ফইনালের আগে একটিও ম্যাচ খেলতে পারেননি রিঙ্কু। এমনকী গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে বা সুপার ফোর পর্বের শেষে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বেঞ্চে থাকা ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেও রিঙ্কু খেলতে পারেননি। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার চোট থাকায় ফাইনালে প্রথম একাদশে জায়গা হয়ে যায় রিঙ্কুর। এবং এই টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম বলেই চার মেরে ভারতকে জিতিয়ে দেন রিঙ্কু সিং।
উল্লেখ্য, রবিবার এশিয়া কাপে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৪৫ রান তুলে ফেলে তারা। দশম ওভারে গিয়ে ৮৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তারপরও ভালো এগোচ্ছিল পাকিস্তান। ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল এক উইকেটে ১১৩ রান। সেখান থেকে ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তাদের শেষ ৯ উইকেট পড়ে মাত্র ৩৩ রানে।
এদিকে ভারত ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে। দুই ওপেনার সহ ভারতের ৩ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ২০ রানেই। তারপর সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক। তবে সঞ্জুও আউট হয়ে যান। এরপর শিবম দুবে এবং তিলক ভারতকে টানতে থাকেন। শিবম ২২ বলে ৩৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। আর শেষে রিঙ্কু একটি বল খেলেই উইনিং রান করেন হারিস রউফকে চার মেরে। গতকাল ফাইনালে ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচের নায়ক ভারতের তিলক বর্মা।