পহেলগাঁও হামলার ক্ষত এখনও রয়েছে ভারতের মনে। এই আবহে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে যাতে ভারতীয় দল বয়কট করে, সেই দাবি উঠেছিল দেশে। তবে বিসিসিআই এবং ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত মাঠে নামে এশিয়া কাপে। এবং এই টুর্নামেন্টে যতবার সূর্যকুমার যাদবরা পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছেন, ততবারই ভারত জিতেছেন। তবে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা হেরেও নির্লজ্জের মতো নানা সময় মাঠের মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেছে। তবে ফাইনালে টানটান উত্তেজাপূর্ণ ম্যাচ জিতে পাকিস্তানিদের মাঠে দাঁড়িয়েই কড়া জবাব দিলেন তিলক বর্মা। রিঙ্কু সিং ফাইনালে উইনিং রান মারারা সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে গিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের প্রায় মুখের ওপর আকাশের দিকে তাকিয়ে স্যালুট করলেন ভারতীয় সেনার উদ্দেশে। সঙ্গে তিনি প্রণামও করলেন হাতজোড় করে। মনে করা হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরকে স্মরণ করেই তিলক বর্মা এই স্যালুট ও প্রণাম করেছেন গতকাল।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচের নায়ক ভারতের তিলক বর্মা। নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতরা পূর্ণ হওয়ার পরও তিলক স্যালুট করেছিলেন। ম্যাচ শেষেও তিনি সেই কাজ করেন। এদিকে যে হ্যারিস রউফ ৬-০ দেখিয়ে চিৎকার করছিল এবং যুদ্ধবিমান পড়ে যাওয়ার মতো হাত দেখাচ্ছিল, তাকেই শেষ ওভারে পিটিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। হারিস চার ওভার সম্পূর্ণ না করেও ৫০ রান দেন। উল্লেখ্য, রবিবার এশিয়া কাপে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৪৫ রান তুলে ফেলে তারা। দশম ওভারে গিয়ে ৮৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তারপরও ভালো এগোচ্ছিল পাকিস্তান। ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল এক উইকেটে ১১৩ রান। সেখান থেকে ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তাদের শেষ ৯ উইকেট পড়ে মাত্র ৩৩ রানে।
এদিকে ভারত ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে। দুই ওপেনার সহ ভারতের ৩ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ২০ রানেই। তারপর সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক। তবে সঞ্জুও আউট হয়ে যান। এরপর শিবম দুবে এবং তিলক ভারতকে টানতে থাকেন। শিবম ২২ বলে ৩৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। আর শেষে রিঙ্কু একটি বল খেলেই উইনিং রান করেন হারিস রউফকে চার মেরে।