'মন কি বাত'-এর ১২৬তম পর্বে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে 'স্বদেশী' দ্রব্য গ্রহণের আমন্ত্রণ জানালেন। পাশাপাশি নিজের দেশে উৎপাদিত দ্রব্যের গর্বিত হওয়ার বার্তাও দিলেন মোদী। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধি জয়ন্তী। এই সূত্রে তিনি মনে করিয়ে দিলেন খাদি বস্ত্রের কথা। সব ভারতবাসীকে অন্তত একটি করে খাদি কাপড় কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
‘গত ১১ বছরে’
মন কি বাতের অনুষ্ঠানে এই দিন তিনি বলেন, ‘২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী। গান্ধীজি সর্বদা স্বদেশী গ্রহণের উপর জোর দিতেন, এবং খাদি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর, খাদির আকর্ষণ ম্লান হয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু গত ১১ বছরে খাদির প্রতি দেশের আকর্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে খাদির বিক্রি বেড়েছে।’
(আরও পড়ুন - ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই চাপ দেবেন মোদীকে’,শুল্ক ইস্যুর মাঝে নয়া দাবি US সচিবের
আরও পড়ুন - নিহতদের ২০ লক্ষ ও আহতদের ২ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেবেন বিজয়, আর কী লিখলেন X হ্যান্ডলে?)
‘২রা অক্টোবর খাদির যে কোনও একটি পণ্য’
সোশাল মিডিয়াকেও খাদির প্রচারে গুরুত্ব দিতে বলেন মোদী। লোকাল ফর ভোকাল হ্যাশট্যাগের প্রসঙ্গ টেনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনাদের সকলকে ২রা অক্টোবর খাদির যে কোনও একটি পণ্য কিনতে অনুরোধ করছি। গর্বের সঙ্গে বলুন, এগুলো স্বদেশী। 'ভোকাল ফর লোকাল' হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।’ খাদির পাশাপাশি কুটির শিল্পের কথাও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তাঁত ও হস্তশিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খাদির মতোই, আমাদের তাঁত এবং হস্তশিল্প ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে।’ ভারত যে সারা বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করছেন, এই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবন একত্রিত হয়, তখন আশ্চর্যজনক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব।’
অর্গানিকের দিকে ঝোঁক
খাদি, হস্তশিল্পের পাশাপাশি অর্গানিক অর্থাৎ বিশুদ্ধ জৈব পদার্থের উপরেও জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় অশোক জগদীশন জি এবং প্রেম সেলভরাজ জির কথা। যারা ভেষজ রং দিয়ে পোশাক রং করেন। মোদী বলেন, ‘তারা ঘাস এবং কলার আঁশ দিয়ে যোগ ম্যাট তৈরি করেন, ভেষজ রঙ দিয়ে পোশাক রঙ করেন এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে ২০০ পরিবারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।’