ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেনেরিক ওষুধগুলি এই তালিকা থেকে বাদ। মূলত যেসব ওষুধে কোনও সংস্থার পেটেন্ট রয়েছে বা শুধু তাদের ব্র্যান্ডই বিক্রি করে থাকে, সেসব ওষুধের দাম বাড়বে। বর্তমানে দেশের মধ্যে একমাত্র সান ফার্মাই সবচেয়ে বেশি পেটেন্ট নেওয়া ওষুধ সরবরাহ করে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে স্বাভাবিকভাবে তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়ার ভরপুর আশঙ্কা রয়েছে।
কত শতাংশ মার্কিনরা কেনে?
এইচএসবিসি গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক রিপোর্ট মোতাবেক, সান ফার্মা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ শতাংশ পেটেন্ট নেওয়া ও ব্র্যান্ডেড ওষুধ বিক্রি করে থাকে। ২০২৪-২৫ সালের রিপোর্ট মোতাবেক তাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারে ১০০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা।
মার্কিন শুল্কের জের
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্টযুক্ত ওষুধের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা রয়েছে, এমন সংস্থা ছাড়া বাকিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম।
(আরও পড়ুন - নিহতদের ২০ লক্ষ ও আহতদের ২ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেবেন বিজয়, আর কী লিখলেন X হ্যান্ডলে?
আরও পড়ুন - ‘ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই চাপ দেবেন মোদীকে’,শুল্ক ইস্যুর মাঝে নয়া দাবি US সচিবের)
কী বলছে রিপোর্ট
অন্যদিকে এইচএসবিসি জানিয়েছে, সান ফার্মা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পেটেন্ট থাকা পণ্য থেকে বিশ্ব জুড়ে ১.২১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে মার্কিন বাজারে বিক্রির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী বিক্রির অন্তত ৮৫-৯০ শতাংশ)। এই অঙ্কটি সংস্থার মোট রাজস্বের ১৭ শতাংশ । ২০২৫ অর্থবর্ষে একত্রিত ইপিএসের (আর্নিং পার শেয়ার) ৮-১০ শতাংশ।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ক্রিসিল রেটিং-এর সিনিয়র ডিরেক্টর অনুজ শেঠি বলেন, নতুন শুল্ক "ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।’ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয় ভারতীয় ওষুধ বাজারের ২০ শতাংশ উৎপাদন। তার বেশিরভাগটাই মূলত জেনেরি। পেটেন্ট-বহির্ভূত ওষুধই থাকে সেই তালিকায়। সেগুলি এই শুল্কের আওতায় আসবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে আয় কমলেও কোনও বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়।