টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ জিতে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। আর পাকিস্তানকে হারাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজির পোস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সাধারণত ক্রীড়াঙ্গনে ভারতীয় খেলোয়াড়রা ভালো করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাতে শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের প্রশংসাই থাকে। প্রতিপক্ষকে নিয়ে কখনও কোনও মন্তব্য বা টিপ্পনি করতে তাঁকে এতবছরে দেখা যায়নি। তবে এই এশিয়া কাপ ফাইনালটি যেন ছিল অন্য জগতের খেলা। আর ভারত সেই ম্যাচ জিততেই পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।
সংক্ষিপ্ত পোস্টে পাকিস্তানকে 'রোস্ট' করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'মাঠে অপারেশন সিঁদুর। ফলাফল সবসময় একই হয় - ভারত জিতে যায়। আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন।' উল্লেখ্য, এই এশিয়া কাপ ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছিল। টুর্নামেন্টে পাকিস্তান তিনবার মুখোমুখি হয় ভারতের। এবং প্রতিবারই তারা হেরেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বে প্রথমবার সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। সেই ম্যাচ জিতে সেনা এবং পহেলগাঁ জঙ্গি হামলায় নিহত ভারতীয়দের উদ্দেশে দলের জয়কে উৎসর্গ করেছিলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এরপর থেকেই যেন সেই 'ঝাল' সহ্য করতে পারেনি পাকিস্তান। মাঠে এবং মাঠের বাইরে একের পর এক কাণ্ড করেছে তারা। তবে খেলতে তারা পারেনি। ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোর পর্বেও পাকিস্তান হেরে যায় ভারতের কাছে। আর গতকাল ফাইনালেও ভারত জয়ী হয়।
গতকাল ফাইনালে ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচের নায়ক ভারতের তিলক বর্মা। যে হ্যারিস রউফ ৬-০ দেখিয়ে চিৎকার করছিল এবং যুদ্ধবিমান পড়ে যাওয়ার মতো হাত দেখাচ্ছিল, তাকেই শেষ ওভারে পিটিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। হারিস চার ওভার সম্পূর্ণ না করেও ৫০ রান দেন। উল্লেখ্য, রবিবার এশিয়া কাপে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৪৫ রান তুলে ফেলে তারা। দশম ওভারে গিয়ে ৮৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তারপরও ভালো এগোচ্ছিল পাকিস্তান। ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল এক উইকেটে ১১৩ রান। সেখান থেকে ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। তাদের শেষ ৯ উইকেট পড়ে মাত্র ৩৩ রানে।
এদিকে ভারত ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে। দুই ওপেনার সহ ভারতের ৩ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ২০ রানেই। তারপর সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক বর্মা হাল ধরেন। চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন সঞ্জু স্যামসন এবং তিলক। তবে সঞ্জুও আউট হয়ে যান। এরপর শিবম দুবে এবং তিলক ভারতকে টানতে থাকেন। শিবম ২২ বলে ৩৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। আর শেষে রিঙ্কু একটি বল খেলেই উইনিং রান করেন হারিস রউফকে চার মেরে।