পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেলতলায় মায়ের বোধন হয়েছে। অনেকে প্যান্ডেল হপিংও করতে বেরিয়ে পড়েছেন। পুজোর সাজে সেজে উঠেছে শহর থেকে গ্রাম। আনন্দে মেতে উঠছেন তারকারাও। ব্যতিক্রম নন পর্দার 'কথাগ্নি' সুস্মিতা দে ও সাহেব ভট্টাচার্য। পুজো নিয়ে তাঁদের কী প্ল্যান? ছোটবেলায় কীভাবে পুজো কাটত তাঁদের? পুজোয় কখনও প্রেমে পড়েছেন তাঁরা? সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন তাঁরা।
সাহেব জানান পুজোয় তাঁর কাছে শহর একেবারে অন্যরূপে ধরা দেয়। তাঁর কথায়, 'এই সময় আমাদের কলকাতা শহরে যে এনার্জিটা থাকে। চারিদিকটা যেভাবে আনন্দে মেতে থাকে, খাওয়া দাওয়া, সব হাসি মুখ এই সবটা যেন আমাদের সারা বছরে কাজ করার রসদ জোগায়। সারাবছর পজেটিভ থাকার এনার্জি জোগায়। পুজোর সময় কখনওই কলকাতার বাইরে যাই না। যতই কাজ থাকুক না কেন এই সময় প্রচন্ড ভাবে উপভোগ করি। পুজো মানেই খাওয়া দাওয়ার একটা বিষয় থাকে। সেটা তো হবেই তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, ঠাকুর দেখা তো রয়েছেই।' অন্যদিকে সুস্মিতা বলেন, 'আমিও কলকাতাতেই থাকব, এখানেই মজা করব।'
কিন্তু এখন তাঁরা দর্শকদের আগ্রহের কারণ তাই আর পাঁচজনের মতো ভিড়ে গা ভাসিয়ে তো ঠাকুর দেখতে পারেন না তাঁরা। এই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার বিষয়টা কি তাঁরা খুব মিস করেন? এই প্রশ্নে সাহেব বলেন, 'আমাদের একটা বড় সুবিধার জায়গা আছে। আমরা প্রচুর পুজো পরিক্রমায় যাই। সেখানে গিয়েই কলকাতার জনপ্রিয় সব মন্ডপগুলো দেখা হয়ে যায়। আর এবছরের পুজোটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। কারণ আমার ভাগ্নে আসছে, বোন আসছে ব্যাঙ্গালুরু থেকে। এই বছর আমার ভাগ্নে প্রথম কলকাতার দুর্গাপুজো দেখবে। ওঁর একেবারে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে, সেটা নিয়ে আমি বেশি উৎসাহিত।'
আসলে তাঁর মধ্যে দিয়ে নিজের ছোটোবেলাকে আবারও ফিরে পেতে চান সাহেব। কিন্তু সাহেবের ছোটবেলার পুজো কেমন ছিল? প্রশ্নে নায়ক বলেন, 'তখন পুজোতে এত আড়ম্বর ছিল না। এত থিম পুজো ছিল না। খুব সাবেকী পুজো হত। তার একটা আলাদা ভালো লাগা আছে। আর ছোটবেলার দুর্গাপুজো মানেই আমার কাছে ক্যাপ বন্দুক। সারা পুজোয় ক্যাপ ফাটাতাম। পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকে ক্যাপ কিনে সেগুলো রোদে দেওয়ার ব্যাপার থাকত। আর একটা হল পুজোর অনুষ্ঠান। এত ভালো ভালো শিল্পীরা তখন পাড়ার অনুষ্ঠানে আসতেন সেটা দেখতে খুব ভালো লাগত।' সুস্মিতার ছোট বেলার পুজোটাও খুব সাদামাটা। তবে সেখানে অনেকটা ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। তাঁর কথায়, 'ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই ঠাকুর দেখতে বের হতাম। অনেক মেলা বসত। সেখানে নানা জিনিস কিনতাম। সেটাই মজা ছিল।'
তবে পুজো মানেই তো পুজো প্রেম। পুজোয় কি কখনও প্রেমে পড়েছেন তাঁরা? সাহেব প্রশ্ন শুনেই মজার ছলে বলেন, 'কথাতেই আছে অষ্টমীতে প্রথম দেখা, নবমীতে হাসি, দশমীতে বলে দেওয়া তোমায় ভালোবাসি তারপর শেষ গল্প।' অন্যদিকে, সুস্মিতা বলেন, পুজো প্রেম হয়নি কখনও আলাদা করে।'