পুজোর আগে থেকেই মহা-তরজা টলিউডে। অবশ্য এই চিত্র নতুন নয়। চার-পাঁচটা বাংলা সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে, আর সেই ছবির নির্মাতারা কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতেছেন, এমন চিত্র অতীতেও বহুবার এসেছে। সন্তান ভার্সেস খাদানের স্মৃতি তো এখনো বেশ দগদগে। তবে এবার দেখা গিয়েছে যাদের সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না, বা সরাসরি টলিউডের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন মানুষরাও এতে সামিল।
অনবরত সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যান্টি-রঘু ডাকাত প্রচার করে চলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র, সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। আর কুণালকে ‘শায়েস্তা’ করতে আবার মাঠে নেমেছেন প্রযোজক রাণা সরকার। কুণালকে এই পুজোয় একাধিকবার দেখা গিয়েছে রক্তবীজ ২ টিমের সঙ্গে। এমনকী, সেই ছবি নিয়ে গলাও ফাটাচ্ছেন তিনি। তবে দেখা গেল, এবার আর শুধু তিনি আটকে থাকলেন না রক্তবীজ ২-তে। বরং একটি পোস্টে জানিয়ে দিলেন, ‘ডাকাত দেখতে হলে 'দেবী চৌধুরানী' দেখুন…’!
পুজোয় মোটামুটি টক্করে তিনটে সিনেমা- দেবের রঘু ডাকাত, উইন্ডোজ প্রোডাকশনের রক্তবীজ ২ আর প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তীদের দেবী চৌধুরানী। অনীক দত্তের সিনেমা ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ দৌড়ে থাকলেও, প্রথম থেকেই পিছিয়ে।
সে যাই হোক, পঞ্চমীতে কুণাল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে দেবী চৌধুরানীর একটি পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সিনেমায় যদি ডাকাতই দেখবেন, 'দেবী চৌধুরানী' দেখুন। প্রসেনজিৎ ফাটিয়ে দিয়েছেন। ভবানী পাঠক চরিত্রটিকে জীবন্ত করে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে বাঙালিয়ানা রেখেই উপস্থাপন। দক্ষিণী ছায়া নয়। নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে ভবানী পাঠককে গড়ে তুলেছেন প্রসেনজিৎ। শ্রাবন্তীকেও বেশ ভালো লেগেছে।’
এমনকী একসময় যেই কিঞ্জলের সঙ্গে ছিল ছত্রিশ কা আখড়া, এবার তারও প্রশংসা শোনা গেল কুণালের গলায়। নিজের এই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিঞ্জল নন্দ যে সুযোগ পেয়েছে, যথাযথভাবে সদ্ব্যবহার করেছে। বাংলা সাহিত্যের সোনার খনি থেকে পর্দায় উঠে আসা দেবী চৌধুরানী কয়েক দশক আগেও হিট ছিল; এবারের সংস্করণও বাংলা দর্শকের মন ভরাবে। প্রসেনজিৎ এখনও একাই একশ।’
তবে এত বিতর্ক, পক্ষে-বিপক্ষে নানা পোস্টের মাঝেও বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর রক্তবীজ ২ আর রঘু ডাকাতের। সেদিক থেকে দেবী চৌধুরানী একটু হলেও পিছিয়ে।