হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন, তারপরেই অপেক্ষার অবসান। মহাষষ্ঠীতে হবে দেবীর বোধন, শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজোর আনন্দ। মহাষষ্ঠীর এই শুভক্ষণে আপনিও যদি নিজের জীবন থেকে নিরানন্দকে চিরকালের জন্য বিদায় করতে চান তাহলে আপনার জন্য রইল কয়েকটি সহজ টোটকা, যার সাহায্যে আপনি আপনার জীবন থেকে অমঙ্গলকে চিরকালের জন্য বিদায় করতে পারবেন।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠীর দিন দেবীর বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ। আপনিও আপনার জীবন থেকে অশুভ শক্তিকে বিদায় করতে বাড়িতে করুন এই ৬ টোটকা। এই কয়েকটি টোটকাই আপনাকে দেবে সুখের হদিশ।
আরও পড়ুন: মহাপঞ্চমী ২০২৫ থেকে ভাগ্য ঘোরাবেন দণ্ডনায়ক শনিদেব! কপাল খুলবে বহু রাশির
১) মহাষষ্ঠীর দিন মাকে অর্পণ করুন সেই নিরামিষ খাবার, যেটি আপনি খেতে সব থেকে পছন্দ করেন। মায়ের কাছে নিজের পছন্দের খাবার অর্পণ করে, মাকে নিজের মনের কথা জানান।
২) মহাষষ্ঠীর দিন কলা পাতায় পাঁচ রকম ফল, এক ডজন কলা এবং পাঁচ রকম মিষ্টি সাজিয়ে মাকে অর্পণ করুন। পুজোর শেষে প্রসাদ বিতরণ করুন গরিব-দুঃখীদের মধ্যে। তবে মনে রাখবেন আপনি যেন নিজে এই প্রসাদ একেবারেই খাবেন না।
৩) মহাষষ্ঠীর দিন ২১ জন পুরোহিতকে ডেকে বাড়িতে খাওয়ান। পুরোহিতকে ভোজন করালে আপনার জীবন থেকে কেটে যাবে সমস্ত অশুভ শক্তি। যদি ২১ জন সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত তিনজনকে খাওয়াতেই পারেন।
আরও পড়ুন: অতি বড় শত্রুও হার মানবে! মা দুর্গার এই ৩ মন্ত্র জপলেই নাগালে আসবে সুখ ও অর্থ
৪) মহা ষষ্ঠীর দিন আপনার চেনাশোনা সাতজন শিশুকে সাধ্যমতো কিছু প্রদান করার চেষ্টা করুন। ছেলে হোক বা মেয়ে, ৭ জন শিশুকে উপহার প্রদান করে নিজের মনের কামনা জানান মাকে।
৫) মহা ষষ্ঠীর দিন মাকে অর্পণ করুন একটি রুপোর মুদ্রা বা পদ্মফুল। দুর্গাপুজোর শেষে রুপোর মুদ্রাটি এমন একটি জায়গায় রাখবেন যেখানে আপনি টাকা পয়সা রাখেন। অন্যদিকে পদ্মফুলটা ঠাকুর ঘরেই রেখে দেবেন।
৬) মহা ষষ্ঠীর দিন একটি মাটির সরা নিয়ে সেখানে পাঁচটি ফল, মিষ্টি, লবঙ্গ, সাদা ফুল এবং কিছুটা আতপ চাল নিয়ে মায়ের চরণের কাছে রেখে দিতে পারেন। পরের দিন অর্থাৎ মহাসপ্তমীর দিন এটি লাল কাপড়ে আতপ চালটা মুড়ে বাড়ির ঈশান কোণে ঝুলিয়ে রাখুন। বাকি যা থাকবে জলের ভাসিয়ে দেবেন।
(এই প্রতিবেদন মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। )