পুজোর আনন্দের মধ্যেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোরের মধ্যে দুই পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত চারজনের। এছাড়াও, আহত হয়েছেন একাধিক। এরমধ্যে একটি ঘটনাকে ঠাকুর আনার সময় এবং অন্য দুর্ঘটনাটি ঠাকুর দেখে ফেরার সময়। হুগলি ও নদিয়া জেলায় এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন ধরে গেল দুটি লরিতে, মৃত ২
জানা যাচ্ছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে হুগলির চন্দননগরে। পোলবার শংকরবাটি বারোয়ারির কয়েকজন সদস্য ঠাকুর আনতে বেরিয়েছিলেন। মূর্তি অন্য একটি গাড়িতে নিয়ে আসা হলেও ছয় সদস্য ফিরছিলেন একটি চারচাকা গাড়িতে। চন্দননগর রেল ওভারব্রিজ থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। দ্রুত গতিতে ছুটে গিয়ে রাস্তার ধারে সাজানো ইটের দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান আরও একজন। মৃতদের নাম ভাস্কর দেবধারা (২৯), প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৪০)। বাকি তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এর মধ্যে একজনকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আসছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির ভেতর থেকে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় চালকের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার তেহট্টে। কলকাতা থেকে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন করিমপুরের এক পরিবার। রাতভর বিভিন্ন প্যান্ডেল ঘোরা শেষে ভোরে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে তাঁদের গাড়িটি গাছে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় সুজিতকুমার বিশ্বাসের (৪৭)। আহত হন তাঁর পরিবারের চারজন সুতপা ঘোষ বিশ্বাস, জাগৃতি বিশ্বাস, শম্পা সরকার ও উত্তমকুমার সরকার। স্থানীয়দের তৎপরতায় রক্তাক্ত অবস্থায় সকলকে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। একদিকে ঠাকুর আনতে গিয়ে, অন্যদিকে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে দুই ভিন্ন ঘটনায় প্রাণ হারাল চারজন। পুজোর উৎসবের মধ্যেই শোকের ছায়া নামল মৃতদের পরিবারে।