তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে সাসপেন্ড হওয়া প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদার গতকাল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো দেখতে গেলেন। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোটি বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো হিসেবে পরিচিত। এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই মাঝে মাঝে 'বেসুরো' হয়েছেন রাজন্যা। এই রাজন্যাকেই একসময় তৃণমূলের হাইকমান্ড সামনের সারিতে নিয়ে এসেছিল দলের। তবে আরজি করের সময় সিনেমা বিতর্কের জেরে সাসপেন্ড হন রাজন্যা। এহেন রাজন্যার দলবদল নিয়ে বহুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এই আবহে তাঁকে বিজেপি কাউন্সিলরের পুজোয় দেখা গেল।
এমনিতেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। সজল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, অপারেশন সিঁদুর থিমে পুজো করায় পুলিশ ইচ্ছে করে এই মণ্ডপ বন্ধ করার বা সেখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এই আবহে রাজন্যার সেখানে যাওয়ার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই বিষয়টিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াতে নারাজ সজল ঘোষ বা রাজন্যা। সংবাদমাধ্যমকে এই নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, 'সব কিছুতে রাজনীতি খোঁজার কী আছে। এখানে রাজনীতির কী আছে? রাজন্যা আমার বোনের মতো। আমরা কখনও টিভিতে লড়াই করেছি। কখনও আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। সেটা থাকবে। এরকম আরও অনেকে আসেন। সাংবাদিকরা সব দেখতে পায় না। রাজন্যা আগেও আসতেন।' এরপর সজল আরও বলেন, 'রাজন্যাকে এখন আর আমি তৃণমূল বলে ধরি না। ও সত্যিকে সত্যি বলে। দেরিতে হলেও বলেছে।'
এদিকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো দেখতে যাওয়া নিয়ে রাজন্যা বলেন, 'অপারেশন সিঁদুর আবেগঘন বিষয়। এখানে আগেও এসেছি।' সঙ্গে রাজন্যা আরও বলেন, 'পুজো নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।' এদিকে রাজন্যার সঙ্গে থাকা প্রান্তিক বলেন, 'এর সঙ্গে রাজনীতি নেই। ৮০ শতাংশ পুজো প্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট আউট রয়েছে। এখানে নরেন্দ্র মোদীর কাট আউট থাকলে দোষের কী। এখানে যাঁরা আসেন, তাঁরা সবাই কি বিজেপি?'