‘হেরা ফেরি ৩’ আসছে, একথা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বেশ আনন্দে ছিলেন সিনেপ্রেমী দর্শক। কারণ ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, পরেশ রাওয়ালের ‘হেরা ফেরি’ ছিল ব্লকবাস্টার। তবে এরপরই শোনা যায় পরেশ রাওয়াল নাকি 'হেরা ফেরি ৩'তে থাকছেন না। শোনা যায়, তিনি ছবির জন্য শুরুতে চুক্তিবদ্ধ হলেও পরে ছবি ছেড়ে বের হয়ে যান। আর তাতেই নানান বিতর্ক দানা বাঁধে। জানা যায় পরেশ রওয়ালের এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে একেবারেই খুশি নন অক্ষয়। তিনি পরেশের বিরুদ্ধে মামলা করছেন বলেও শোনা যায়।
এদিকে ২০০০ সালে আসা এই সুপারহিট ছবির ত্রয়ীর মধ্যে ‘বাবু ভাইয়া’ ছবিতে থাকবেন না জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন। অনেকে এমনও লিখেছেন যে পরেশ রাওয়ালকে ছাড়া এই ছবি বানানোর কোনও মানে হয় না। এদিকে এই ছবি নিয়ে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, পরেশ রাওয়াল এই ছবির জন্য স্বাক্ষরের অর্থ ফেরত দিয়েছেন।নির্মাতাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে যে তিনি এই ছবির আর অংশ হতে চান না।
হেরা ফেরি ৩ ছাড়ার জন্য কত টাকা ফেরত দিয়েছেন পরেন?
বলিউড হাঙ্গামা একটি প্রতিবেদনে অনুসারে যে পরেশ রাওয়াল এই ছবিতে স্বাক্ষরের জন্য (সাইনিং ফি) ১১ লক্ষ টাকা অগ্রিম পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। তবে অভিনেতা হঠাৎ এই ছবি ছাড়ার কারণে সৃষ্ট অসুবিধার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১৫ শতাংশ বার্ষিক সুদ বাবদ তাঁর সেই অগ্রিম পারিশ্রমিক ফেরত দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পরেশ রাওয়াল ১৫ শতাংশ বার্ষিক সুদে ১১ লক্ষ টাকা সাইনিং ফি ফেরত দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যই ক্ষতিপূরণ হিসেবেই একটু বেশি টাকা ফেরত দিয়েছেন পরেশ।
হেরা ফেরি ৩-র জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক পেতেন পরেশ?
ছবিটির নির্মাতাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরেশ রাওয়ালের এই ছবির জন্য ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। যার মধ্যে ছবিটি মুক্তির পরে তাঁর এক মাসে ১৪.৮৯ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আগামী বছর থেকে হেরা ফেরি ৩র শুটিং শুরু হতে চলেছে বলে খবর। ২০২৭ সালে এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে এই শর্তাবলী সম্ভবত পরেশের ভালো লাগেনি। আর তাই অভিনেতা আকস্মিক ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই তাঁর এবং অক্ষয় কুমারের মধ্যে আইনি লড়াইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, অক্ষয় কুমারের সংস্থা 'কেপ অফ গুড ফিল্মস' অভিনেতার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকার মামলা করেছেন। এদিকে ছবির সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই ছবির প্রোমো শ্যুট শেষ হয়ে গিয়েছিল। 'ভুল বাংলা'র সেটে শুটিং হয়েছে সেটির।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল হেরা ফেরি, এরপর ২০০৬-এ মুক্তি পায় এই ছবির দ্বিতীয় পর্ব, যেটিও বেশ আলোচনায় ছিল। এরপর সিনেপ্রেমীরা দীর্ঘদিন এই ছবির তৃতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তবে এরই মাঝে হঠাৎ করে পরেশ রাওয়ালের ছবি ছাড়ার সিদ্ধান্তে ছবিটির ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।