বাঁকুড়া জেলায় টানা বৃষ্টির জেরে বিপত্তি। শালী নদীর উপর আচমকাই ভেঙে পড়ল পুরনো কজওয়ে। শুক্রবার বিকেলের দিকে আচমকা বড়জোড়া ব্লকের রাওতোড়া এবং ভৈরবডাঙ্গাকে যুক্ত করা ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে নদীর স্রোতে কজওয়ের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ায় অন্তত দশটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে নড়েচড়ে বসল বাংলা, সব ব্রিজে শুরু হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা
স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি বর্ষায় বারবার ফুলেফেঁপে ওঠা শালী নদী কজওয়েটির ভিত্তি দুর্বল করে দেয়। কয়েক মাস ধরেই ভাঙাচোরা অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে এই সেতুর উপর দিয়েই চলাফেরা করছিলেন রাওতোড়া, কানাই, নামাই, গরিববাটি, জগন্নাথপুর-সহ ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষজন। কিন্তু শুক্রবার আচমকা ভেঙে পড়ায় আর যাতায়াতের উপায় নেই।
শুধু রাওতোড়া নয়, আশেপাশের দধিমুখা এবং আরও বেশ কিছু গ্রাম সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল ছিল এই কজওয়ের উপর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য স্থানীয়রা যেতেন সোনামুখী ব্লক শহর কিংবা বাঁকুড়া জেলা সদর শহরে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় সেই পথ এখন বন্ধ। গ্রামবাসীরা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না হলে সাধারণ মানুষের বড় বিপদ হতে পারে।
রাওতোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, কজওয়েটি বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। ভারী বর্ষণে কিছু দিন আগে থেকেই নীচের অংশ থেকে বালি সরে গিয়েছিল। তখনই মেরামত করা হলে আজ এত বড় ক্ষতি হতো না। একই সঙ্গে পুরনো সেতু মেরামত না করার জন্য প্রশাসনের দিকেও গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রশাসন এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী সেতু বা ফেরিঘাটের মতো কোনও বিকল্প পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেনি। তবে ভাঙনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত সংস্কার না হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার জেরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে।