২৩ মাস বয়সী শিশুর মেরুদণ্ডে সংক্রমণ। মেরুদণ্ডের দুই পাশে জমে গিয়েছিল পুঁজ। যা সঠিকভাবে অস্ত্রোপচার করে বার করতে না পারলে দেখা দিতে পারে অস্বাভাবিকতা। আবার শিশু বলেই তাঁর অস্ত্রোপচার বেশ কঠিন। তবে সিএমআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক অভীক ভট্টাচার্যের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেল একরত্তি।
ঠিক কী হয়েছিল? চিকিৎসকের কথায়, ‘মেরুদণ্ডের পাশে থাকা একটি বড় সংক্রামিত স্থান ছিল। সেখানেই জমে ছিল পুঁজ। ক্যাথিটার ড্রেনেজের মাধ্যমে সেই পুঁজ বের করে আনা হয়। যার ফলে একটি বড় অস্ত্রোপচার এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’
কী লক্ষণ দেখা গিয়েছিল শিশুটির মধ্যে? চিকিৎসক জানালেন, ‘৭ দিন ধরে উচ্চমাত্রার জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি এবং ক্রমবর্ধমান খিটখিটে মেজাজের মতো সমস্যা হচ্ছিল। এই সব লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর দেখা যায়, রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বেশি এবং ডেঙ্গু এনএস১ পজিটিভ। রক্ত পরীক্ষা করে MRSA ধরা পড়ে। মস্তিষ্কে বড় ধরনের সংক্রমণের সন্দেহে এমআরআই করা হয়েছিল, যা ঘাড়ের কাছে মেরুদণ্ডের এপিডিউরাল স্পেসে একটি সংক্রামিত পুঁজ জমা হওয়ার লক্ষণ দেখায়।’
শিশুর বয়স এবং পুঁজের সংবেদনশীল অবস্থানের কথা বিবেচনা করে একটি ন্যূনতম কাটাছেড়ার পদ্ধতির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একটি পিনহোল ছিদ্রের মাধ্যমে শিশুর পিঠের দিকে মেরুদণ্ডের খালের এপিডিউরাল অ্যাবসেস ক্যাভিটির মধ্যে একটি পাতলা ক্যাথিটার স্থাপন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ পুঁজ নিষ্কাশন করা হয়েছিল এবং বাকি জমাট পুঁজ নিষ্কাশনের জন্য ক্যাথিটারটি রেখে দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে শিশুটির অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এবং আর কোনও জ্বর নেই। ২ দিন পর একটি দ্বিতীয় এমআরআই-তে সম্পূর্ণ সেরে যাওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। পুঁজের কালচারে MRSA পাওয়া গিয়েছিল। তাই তাকে দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসায় রাখা হয়েছে।