শেখ শাহজাহান এখন কারাগারে বন্দি। কিন্তু জেলে থাকলেও বাইরে প্রভাব খাটিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই ফের তৎপর হলো সিবিআই। শনিবার সকালেই কেন্দ্রীয় সংস্থার একদল আধিকারিক পৌঁছে যান বসিরহাটের সড়বেড়িয়ায়, শাহজাহানের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা, পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। খবর পাওয়া গেছে, শাহজাহানের মেয়ের বাড়িতেও যান সিবিআই আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ২ BJP কর্মী খুনে CBI তদন্ত বহাল রাখল হাইকোর্ট, অস্বস্তিতে শাহজাহান
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে আসে। সেই সূত্র ধরেই একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শাহজাহান নিজেও বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তদন্তে এরই মধ্যে উঠে এসেছে, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি ভেড়ি থেকে মাছ আমদানি-রফতানির ব্যবসাতেও জাল বিস্তার করেছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, গ্রেফতারের পরও জেল থেকেই তাঁর প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। এ কারণেই ফের সক্রিয় হল তদন্তকারী সংস্থা।
শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগও বিচারাধীন। শুক্রবার, গণধর্ষণের মামলায় তাঁর অনুগামী শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর জামিন আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের পর্যবেক্ষণ, এত গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত থাকায় এবং তদন্ত চলমান অবস্থায় জামিন দেওয়া হলে প্রমাণ লোপাট বা তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই মুহূর্তে জামিনের সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে, সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ হিসেবে একসময়ের পরিচিত শাহজাহানকে ঘিরে তদন্তে নতুন মোড় নিল। কারাগারে থেকেও তিনি আদৌ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন কি না এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছে সিবিআই।