পুকুরের জলে ভাসছে বছর নয়েকের শিশুর মৃতদেহ। সম্প্রতি এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তাল নদিয়ার তেহট্টের নিশ্চিন্তপুর। শিশুকে খুনের সন্দেহে প্রতিবেশী দম্পতিকে পিটিয়ে খুন করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র্যাফ নামানো হয়। কিন্তু প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকায়। অভিযোগ, পরিবার নিখোঁজের ডায়েরি করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন - পুজোয় ভিআইপি রোডের যানজট কমাতে নতুন ব্রিজ! কোথায়? কবে থেকে চালু?
পুকুরে উদ্ধার দেহ
ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরের। এই দিন বেলা তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে খেলতে বছর নয়েকের স্বর্ণাভ মন্ডল। কিন্তু দু ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবার তাঁকে খুজতে বেরোয়। রাত পর্যন্ত গোটা এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও হদিশ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশে নিখোঁজের ডায়েরি করতে যান তাঁরা। নিখোজের ডায়েরি করার পর পুলিশ নিস্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ত্রিফলে মোড়া একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। সেটি খুললে দেখা যায় স্বর্ণাভর দেহ। এরপরই তেহট্ট থানায় খবর দেওয়া হয়।
গণপিটুনিতে মৃত্যু দুজনের
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুরের কাছেই থাকা বিশ্বাস দম্পতি এই খুনের নেপথ্যে। কারণ ওই পরিবারের সঙ্গে স্বর্ণাভর পরিবারের চরম বিবাদ ছিল। এর পরেই স্থানীয়দের অনেকে তাদের উপর চড়াও হয়। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশের চটের গুদামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি দুজনকে বাইরে বের করে এনে বেধড়ক পেটানো হয়।
আরও পড়ুন - রাজ্যে ফের SSC পরীক্ষা! কেমন নিরাপত্তা সব সেন্টারে? OMR নিয়ে কী কী নিয়ম
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বিবাদের জেরেই অপহরণ করে খুন না অন্য কোনও কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। তবে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিলে স্বর্ণাভকে খুঁজে পাওয়া যেত বলেই দাবি স্থানীয়দের। পাশাপাশি পুলিশ ঠিক সময়ে পৌঁছালে বাঁচানো যেত বিশ্বাস দম্পতিদেরও।