মার্কিন শুল্ক তাণ্ডবের মাঝে সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফর নিয়ে বেশ কিছু জল্পনা ছিল। সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা বা ইউএনজিএ-র সভা রয়েছে। সেখানে হাইভোল্টেজ আলোচনা সভায় ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাচ্ছেন না। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর জায়গায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
তথ্য বলছে, শেষবার ২০২১ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গিয়েছিলেন মোদী। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের হেডকোয়ার্টারেও তিনি যান। তবে সভায় যোগ দেননি। তারপর ২০২২ সাল থেকেই রাষ্ট্রসংঘের ডিবেটে ভারতের হয়ে ময়দানে নেমেছেন এস জয়শংকর। শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার উচ্চ পর্যায়ের ডিবেটে স্পিকারদের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা রয়েছে ভারতের তরফে এক ‘মন্ত্রী’ সেখানে যো দেবেন। জানা যাচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর, যেদিন দেশে দুর্গাপুজোর পঞ্চমী পালিত হবে, সেদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। এর আগে, জুলাই মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যে সম্ভাব্য যে বক্তাদের তালিকা প্রকাশ পায় সেখানে নরেন্দ্র মোদীর নাম ছিল। তবে সদ্য সেই তালিকা থেকে তাঁর নাম সরেছে।
এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন সফর করেন মোদী। সেবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন। এরপর সদ্য ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় ট্রাম্পর সরকার। যেখানে পাকিস্তানের জন্য অঙ্কচা ১৯ শতাংশ। এরপরও ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। ফলত মোট ৫ শতাংশ শুল্ক চড়ল ভারতের ওপর। এরপর থেকেই দিল্লি-ওয়াশংটন সম্পর্ক খুব একটা সুখের খাতে বয়নি। এদিকে, সদ্য অগস্টের শেষে চিন সফরে যান মোদী। সেখানে এসসিও সামিটে তাঁর সাক্ষাৎ হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-র সঙ্গে। এরপরই আজ সদ্য ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর চিরকালই 'বন্ধুত্বের সম্পর্ক' রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদীর মার্কিন সফরের জায়গায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের মার্কিন সফর দিল্লির কূটনীতির অন্যতম কৌশলী 'ইয়র্কার' বলে মনে করা হচ্ছে।