কিংবদন্তি গায়ক মোহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ রফি সম্প্রতি বিখ্যাত প্লেব্যাগ গায়িকা লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঈর্ষা এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে দুই কিংবদন্তি গায়িকা বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বাবার কেরিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।
ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে শাহিদ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে পুরুষ সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের সঙ্গে একেবারেই সম্পর্ক ভালো ছিল না। বাবাকে সকলের প্রথম স্থান দিতেন বলে তা নিয়ে ঈর্ষা করতেন তাঁরা।’
আরও পড়ুন: বন্ধু ঋতুর জন্মদিনে আবেগপ্রবণ প্রসেনজিৎ, পরিচালকের স্মরণে কী বললেন রাম কমল?
আরও পড়ুন: 'খুব হিংসে হয়েছিল...', কোন সিনেমায় অভিনয় না করার আক্ষেপ রয়েছে দেবের?
শাহিদ আরও বলেন, ‘১৯৭০ সালে বাবা হতাশাগ্রস্ত এবং কর্মহীন ছিলেন এই কথাটা একেবারেই ভুল। আপনি চাইলে সেই সময়ের হিট গান শুনতে পারেন, তার মধ্যে বেশিরভাগ গান বাবার ছিল। আমি এতক্ষণ যে কথাগুলি বললাম লতাজির মুখেই শোনা। লতাজিও দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি আমার বাবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা কখনও ঘটেনি।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডের সম্মান পাওয়ার কথা ছিল বাবার, কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের মধ্যস্থতায় সেটা বাবা আর পাননি। বাবা বিষয়টি নিয়ে কোনওরূপ ঝামেলা করেননি। এমন অনেক ঘটনাই আছে, যেটা কেউ জানে না।
আরও পড়ুন: 'বহুদিন হল নিখোঁজ...', জন্মদিনে কাকে হারিয়ে চিন্তিত শ্রীলেখা?
আরও পড়ুন: শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবি’-র ছায়ায় সিনেমা নিয়ে আসছেন সৃজিত, প্রকাশ্যে মুক্তির তারিখ
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংগীত ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক এবং বহুমুখী প্লেব্যাক সিঙ্গার ছিলেন মোহম্মদ রফি। হিন্দি ছাড়াও পাঞ্জাবি, বাংলা মারাঠি এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় প্রায় ৭ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন তিনি।
প্লে ব্যাক গান ছাড়াও তিনি কাওয়ালী, ভক্তিমূলক ভজন এবং অন্যান্য ধারার গানও গিয়েছেন সমান তালে। এসডি বর্মণ, নওশাদ, শঙ্কর-জয়কিষণ এবং আরডি বর্মণের মতো কিংবদন্তি সুরকারদের সাথে তাঁর সহযোগিতায় কালজয়ী এমন অনেক ক্লাসিক তৈরি হয়েছিল যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের মন জয় করে রয়েছে।
১৯৮০ সালে মাত্র ৫৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।