মারপিটের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। অভিযানে নামতেই দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ শুরু করে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার। এছাড়া, অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন দু’জন পুলিশকর্মীও। বুধবার গভীর রাতে ফরাক্কার শিবনগরে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলেও আরও দু’জন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: SSC ভবন অভিযানের আগেই পুলিশি তৎপরতা, অডিও কাণ্ডে আটক চাকরিহারা শিক্ষক সুমন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে ফরাক্কার শিবনগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, একদল যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। তখনই আরেকদল যুবকের সঙ্গে তাঁদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি গড়ায় রণক্ষেত্রে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে এক যুবকের কান কেটে যায়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় বেনিয়াগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা নাগাদ আহত যুবক চিকিৎসার পর ভাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ফের তাঁকে আটকায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ফের মারধরের চেষ্টা করা হয়। ভাই কোনওভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন।
খবর পেয়ে ফরাক্কা থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। লালমাটি মাদ্রাসার কাছে গেলে আটজন দুষ্কৃতী আচমকাই পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। তাতে তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ারের শরীরে স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে পাঁচটি সেলাই পড়েছে, অন্যজনের শরীরে দু’টি। বাকি এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং দুই পুলিশকর্মীও আঘাত পান। পুলিশ জখমদের দ্রুত অর্জুনপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর সকলকে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অভিযানের মধ্যেই পুলিশ ছয় দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়। বাকিরা অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায়। পলাতক দু’জনকে খুঁজতে তল্লাশি জারি রয়েছে।অর্জুনপুর পঞ্চায়েতের সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, সমাজবিরোধীরা এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলেও উল্টে তাঁদের লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয়েছে। বোমাবর্ষণের ঘটনায় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।