শিয়ালদাগামী লোকাল মানেই সকাল থেকেই প্রচুর ভিড় থাকে। এর মধ্যে লোকাল হিসেবে ভিড়ের কারণে সবচেয়ে কুখ্যাত বোধহয় বনগাঁ লোকাল। অফিস টাইমে স্টেশনে যেমন থিকথিকে ভিড়, তেমনই বাদুড়ঝোলা ভিড় থাকে ট্রেনের ভিতর। এমনকি গেটের কাছেও অনেকে ঝুলতে ঝুলতে গন্তব্যে যান। তবে শুক্রবার সকালের দিনটি যেন বনগাঁ লোকালের যাত্রীদের কাছে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। কারণ এই দিন থেকেই শিয়ালদা থেকে বনগাঁ হয়ে রানাঘাটে যাচ্ছে এসি লোকাল।
আরও পড়ুন - ভারতে বিক্রি হল টেসলার প্রথম গাড়ি! কিনলেন কে? কোন মডেল? প্রকাশ্যে ঝলক
কী বলছেন যাত্রীরা?
বনগাঁ রুটে এসি লোকালে ওঠার জন্য কাউন্টারে ভিড় সকাল থেকেই। শুক্রবার রানাঘাট থেকে বনগাঁ চলে গিয়েছিল এসি লোকাল ট্রেন। সেখান থেকেই সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে শিয়ালদার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এসি লোকাল। এদিন এসি লোকালের যাত্রীদের প্রত্যেকের মুখেই ছিল একগাল হাসি। এই প্রথম সম্ভবত এসি লোকালের ট্রেনে এত কম ভিড়ে যাত্রা করলেন অফিসের নিত্যযাত্রীরা। এক যাত্রী যেমন বলে ওঠেন, ‘পচাগলা গরমের মধ্যে এসি লোকাল যেন প্রাণের আরাম! এত সুন্দর সিট, কামরা ভাবা যায় না।’
আরও পড়ুন - ‘বিহার আর বিড়ি…’ ভোটের জন্য বিড়িতে করছাড়? কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেসের
টিকিটের দাম কিছুটা যেন বেশি
প্রসঙ্গত, এই দিন সকাল থেকেই বনগাঁ স্টেশনে টিকিট কাটার জন্য অনেক লম্বা লাইন পড়ে যায়। প্রথম এসি লোকালে চড়ার জন্যই অনেকেই আসেন দূরদূরান্ত থেকে। তবে কারও কারও মুখে অভিযোগ শোনা গেল টিকিটের দাম নিয়েও। টিকিটের দাম একটু কম হলে সবরকম লোকই যাতায়াত করতে পারবে এসি লোকালে। তবে এত কিলোমিটার নির্ঝঞ্ঝাটে যাত্রা করতে পেরে খুশি অধিকাংশ যাত্রী। সাধারণত বনগাঁ লোকাল মানেই মারামারি গুঁতোগুঁতি লেগে থাকে। এই দিন কিছুটা আলাদা অভিজ্ঞতা হল সকলেরই।