হুগলির উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে জয়রামবাটি-কামারপুকুর উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত। এর ফলে জেলায় তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের পর আরও একটি পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: কোন ইস্যুতে মেয়ো রোডে ধর্নায় বসতে চেয়ে হাইকোর্টে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা?
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা এমন একটি বিশেষ পর্ষদের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও মা সারদা দেবীর স্মৃতিবিজড়িত জয়রামবাটি ও কামারপুকুর শুধু হুগলি নয়, গোটা বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। নতুন উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হলে এখানকার পর্যটন, পরিকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, জয়রামবাটি-কামারপুকুর অঞ্চল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ওই অঞ্চলের একাধিক বিধানসভা আসনে বর্তমানে বিজেপির প্রভাব তুলনামূলকভাবে বেশি। ফলে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে উন্নয়নের হাত ধরে শাসক দল তৃণমূল ওই এলাকায় বিজেপির শক্ত ঘাঁটিকে টক্কর দিতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
লোকসভা স্তরে অবশ্য তৃণমূলের প্রার্থী মিতালি বাগ আরামবাগ থেকে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় এখনও বিজেপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে জয়রামবাটি-কামারপুকুর উন্নয়ন পর্ষদ গঠনকে অনেকে দেখছেন রাজনৈতিক সমীকরণ বদলানোর কৌশল হিসেবে। অর্থাৎ উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকায় তৃণমূলের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভিত আরও মজবুত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এলাকার মানুষের আশা, এই পর্ষদ গঠনের ফলে পর্যটন শিল্প যেমন নতুন করে গতি পাবে, তেমনই কর্মসংস্থান ও স্থানীয় পরিকাঠামোতেও আসবে পরিবর্তন।