বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই মতো দলীয় কর্মীদের অভিযোগ ও পরামর্শ সরাসরি শোনার জন্য বুধবার ‘দরবার’ বসিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, পুরনো ও দীর্ঘদিনের কর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করে তাঁদের সমস্যা জানা। কিন্তু সেই দরবার ঘিরেই তৈরি হল বিতর্ক। কারণ, দলের পুরনো দফতর মুরলীধর সেন লেনে আয়োজিত ওই বৈঠকে ঢুকতে গিয়েও প্রবেশাধিকার পাননি এক রাজ্য পদাধিকারী। কর্মীদের অভিযোগ, ওই নেতা আসলে এসেছিলেন কর্মীদের বক্তব্য আড়ি পেতে শোনার জন্য। ফলে শুরু হয়েছে নতুন করে অন্তর্দ্বন্দ্বের জল্পনা।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু প্রার্থী বাড়াতে পারে বিজেপি? ২৬-র লক্ষ্যে নয়া কৌশল গেরুয়া শিবিরের
বুধবার শমীক ভট্টাচার্য যখন পুরনো কার্যালয়ে শতাধিক কর্মীর সঙ্গে একান্তে কথা বলছিলেন, সেই সময় ওই পদাধিকারীকে পার্টি অফিসের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দলের আদি শিবিরের অনেকের মতে, আগের নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ ওই নেতা এসেছিলেন কর্মীরা রাজ্য সভাপতির কাছে কোনও অভিযোগ তুলছেন, তা খোঁজ নিতে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দলের ভেতরেই ফিসফাস শুরু হয়ে যায়। এদিনের দরবারে শমীকের সামনে কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ ওঠে, পূর্বতন নেতৃত্বের আমলে বহু পুরনো কর্মীকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের জায়গায় ঢুকেছিলেন পছন্দের লোকজন। আবার অনেকেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন দলে কাজ করলেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
শমীকের সঙ্গে দেখা করতে আসা কর্মীরা আলাদা খাতায় নাম লিখিয়ে একে একে বৈঠক কক্ষে গিয়েছেন। বিজেপি কর্মীরা বলছেন, এই ধরনের উদ্যোগ আগে কেউ নেয়নি। শমীকবাবু কর্মীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটাই দলে নতুন বার্তা। অনেকেই বলছেন আবার পুরনোদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হবে। দলীয় সূত্রের খবর, শমীক ভট্টাচার্য কর্মীদের বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছেন, নোট নিয়েছেন এবং সমস্যার সমাধানে নির্দেশও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, দলের প্রত্যেককে কাজে লাগানো হবে। বৈঠকে তাঁর পাশে ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন চট্টোপাধ্যায়, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতারা। কিছুক্ষণ হাজির ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায়ও।