কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য মেনে ছবির জগতে এসেছিলেন ঋষি কাপুর। এরপর দীর্ঘসময় ধরে বলিউডকে সমৃদ্ধ করেছেন অভিনেতা। ২০২০ সালে প্রয়াত এই কিংবদন্তি অভিনেতা তাঁর ঠোঁটকাটা স্বভাব এবং সিনেমার প্রতি আবেগের জন্য পরিচিত ছিলেন। আজ বেঁচে থাকলে ঋষি কাপুরের বয়স হত ৭৩।
ঋষি কাপুর তাঁর ছেলের ক্যাসেনোভা ইমেজ নিয়েও নানা সময়ে কথা বলেছেন। শোনা যায়, ক্যাটরিনার সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক মঞ্জুর ছিল না নীতুর। তবে আলিয়াকে দু-হাত বাড়িয়ে পরিবারে স্বাগত জানান রণবীরের মা। আলিয়ার অভিনয় গুণে মুগ্ধ ছিলেন ঋষিও। রণবীর-আলিয়ার বিয়ে দেখে যেতে পারেননি প্রয়াত অভিনেতা, তবে হবু বউমার প্রশংসা করেছিলেন প্রাণভরে। ২০১৮ সালে, ভারতীয় সিনেমার পরিবর্তিত চেহারা সম্পর্কে কথোপকথনের সময়, ঋষি তরুণ প্রজন্মের অভিনেতাদের সম্পর্কে কথা বলেছিলেন যারা এই শিল্পকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছেন। তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে ১০১ নট আউট (২০১৮)। তাঁর হাতে ছিল মূলক (২০১৮) এবং রাজমা চাওয়াল (২০১৮)-এর মতো ছবি। ঠাসা সময়সূচী সত্ত্বেও, তিনি তরুণ অভিনেতারা বলিউডে যে তাজা শক্তি নিয়ে এসেছিলেন তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিলেন। কে তাঁকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন জানতে চাইলে আলিয়া ভাটের নাম নিতে দ্বিধা করেননি ঋষি কাপুর।
তিনি বলেন, ‘আলিয়া ভাটের মতো একজনের প্রশংসা করতেই হয়, যিনি হাইওয়ে এবং রাজির মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই অল্প বয়সে নিজের কাঁধে একটি চলচ্চিত্র বহন করা খুব কঠিন এবং কেবল একজন দক্ষ অভিনেতাই এটি করতে পারেন। এছাড়াও, এই ধরণের চরিত্র পাওয়ার জন্যও একজনকে যথেষ্ট ভাগ্যবান হতে হবে। আলিয়া ভাগ্যবান এবং অবশ্যই তার প্রতিভাও রয়েছে।’
সেইসময় সদ্য রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন আলিয়া। প্রায় পাঁচ বছর প্রেম করার পর, ঋষি কাপুরের মৃত্যুর দু-বছর পর ২০২২ সালে ঋষি-নীতুর বউমা হন আলিয়া। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে, প্রয়াত শ্বশুরকে স্মরণ করে নিয়েছেন নায়িকা।
অভিনেতার পুরোনো একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘সর্বদা এবং চিরকাল, তোমাকে মিস করি ... শুভ জন্মদিন’। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইতে হার মানেন ঋষি কাপুর। তাঁর শেষ দিনগুলিতে রণবীর এবং কাপুর পরিবারের পাশাপাশি সঙ্গ দেন আলিয়াও, এমনকি নিউ ইয়র্কে ঋষির ক্যান্সারের চিকিত্সা চলাকালীন সেখানেও পৌঁছেছিলেন আলিয়া।