গত জুন মাসে বিধানসভা অধিবেশনের সময় ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিজেপির কয়েকজন বিধায়কের। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর অবশেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এখনই কঠোর শাস্তি হচ্ছে না। আপাতত সতর্কবার্তা দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হল অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন: পাক সেনার অত্যাচারের সঙ্গে ইন্ডিয়ান আর্মির তুলনার ব্রাত্যের, সাসপেন্ড শুভেন্দু
মঙ্গলবার বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে স্পিকার পরিষ্কার করে বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অশান্তি না ঘটে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সংযত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বিধানসভা গণতন্ত্রের মন্দির, এখানে বিশৃঙ্খলা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তদন্তে উঠে এসেছে, শুধু চার বিজেপি বিধায়ক নন, মোট দশজন সদস্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ, কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও, ফালাকাটার দীপক বর্মণ এবং আসানসোল দক্ষিণের অগ্নিমিত্রা পাল। তদন্ত প্রক্রিয়ায় তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য মোট ২১ জনকে ডাকা হয়েছিল। দীর্ঘ শুনানি শেষে সদ্য রিপোর্ট জমা পড়ে।
তবে শাস্তির বদলে সতর্কবার্তা দেওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, কঠোর ব্যবস্থা নিলে বিধানসভা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠত। পাশাপাশি আইনি জটিলতার আশঙ্কাও ছিল প্রবল। তাই আপাতত নরম অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছেন অধ্যক্ষ। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছেন, আগামী দিনে যদি এমন কোনও ঘটনা ফের ঘটে, তখন কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে। কারণ ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন থেকেই তৃণমূল-বিজেপি তরজায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের একাংশের মতে, শাস্তি না হওয়ায় তৃণমূলের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ল। অন্যদিকে শাসক শিবির মনে করছে, স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত মূলত শৃঙ্খলা বজায় রাখার কৌশল।