ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন। অথচ তাঁর হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে প্রদেশ কংগ্রেস সদর দফতরে ছেলের পর অবশেষে পুলিশের জালে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। কয়েকদিন ধরেই কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁর নাম ঘিরে জোরালো বিতর্ক চলছিল। ঘটনার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের ট্যাংরা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। আজ, বুধবার শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় কংগ্রেস দফতরে ভাঙচুর কাণ্ডে গ্রেফতার রাকেশ সিংহের ছেলে, সরব বিজেপি নেতা
ঘটনাটি গত শুক্রবারের। সকালের দিকে বিধান ভবনে কংগ্রেসের রাজ্য সদর দফতরে হামলা হয়। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে একদল কর্মী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পোড়ানো হয় কংগ্রেস পতাকা, নেতাদের ছবি ছিঁড়ে আগুন দেওয়া হয়। অভিযোগ আরও, এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন রাকেশ সিং নিজে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। ঘটনার পরপরই এন্টালি থানায় দায়ের হয় এফআইআর। অস্ত্র আইনের একাধিক ধারাতেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাকেশের ছেলে শিবম সিং-সহ তাঁর তিন সহযোগী বিজয়প্রসাদ ধানুক, সন্তোষকুমার রাজভর ও দিব্যেন্দু সামন্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত রাকেশ ছিলেন অধরা।
তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি চালানো হলেও খোঁজ মিলছিল না। তবে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এমনকি ছেলে শিবমকে গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ধরতে না পেরে তাঁর পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে পুলিশ। স্ত্রী ও কন্যাকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকেও সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাকেশ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ট্যাংরা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাঁকে সমর্থকদের উদ্দেশে স্লোগান দিতেও শোনা যায়, ‘নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ’। এ ছাড়াও পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে তিনি জানান, কাউকে ভয় পান না তিনি। প্রসঙ্গত, ভাঙচুরের এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। বিজেপির দাবি, পরিকল্পিতভাবে রাকেশকে ফাঁসানো হচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস বলছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর প্রকাশ্য আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার মাস্টারমাইন্ড রাকেশ সিং।