কেন্দ্র সরকার মঙ্গলবার একটি গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে অবৈধ বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার আগে তাঁদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ করা যায় এবং ডিটেনশন কেন্দ্রগুলিতে রাখা যায়। কেন্দ্র এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কাদের কাদের ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালগুলিকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এটি ১৯৬৪ সালের ফরেনার্স (ট্রাইব্যুনাল) অর্ডারের পরিবর্তে কার্যকর হবে এবং ফরেনার্স (নাগরিক) ট্রাইব্যুনালকে এই অধিকার দেবে যে, নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক থাকা কেউ যদি নিজে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁকে আটকের নির্দেশ জারি করা হতে পারে।
গেজেট নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, 'কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন বা জেলা কালেক্টর বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, এই আদেশের মাধ্যমে জানতে চাইতে পারে যে কেউ আইনের অধীনে বিদেশি কিনা। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ তিনজন সদস্য থাকবেন, যাদের আইনি অভিজ্ঞতা আছে, যাঁদের কেন্দ্র সরকার যোগ্য বলে মনে করবে।
যদি কেউ তাঁর দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন যে তিনি বিদেশি নন, তাহলে তাঁকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে।" অনুমতি ছাড়া কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এটাও বলা হয়েছে যে যদি এই বিদেশিদের গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে তাঁদের ভারতে প্রবেশ বা বসবাস থেকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে এবং কোনও বিদেশি কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া ভারতে কোনও অঞ্চলে চলাচল করতে পারবে না। ব্যক্তিগত খাতে বিদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্যও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।