দিল্লির সবচেয়ে বড় শশ্মানঘাটে থেমে গেল দাহকার্য। কারণ যমুনার জল বানভাসি। এনডিটিভি সূত্রে খবর, দুই ঘণ্টা আগে দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে মৃতদেহ দাহকার্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু মাত্র সকালে যে দাহকার্য শুরু হয়েছিল, সেগুলিই সম্পন্ন করা হবে। দিল্লির এই শশ্মানে রোজ ৫৫-৬০টি দাহকার্য করা হয়। লাল কেল্লার পিছনে রিং রোডের পাশে অবস্থিত নিগমবোধ ঘাট দিল্লি শহরের প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম শ্মশান।
কী জানালেন কর্মকর্তা?
ঘাটের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘আগে শুধু বৃষ্টির জলই প্রবেশ করছিল। কিন্তু দুই ঘণ্টা আগে একটি ৭-৮ ফুট উচু দেওয়ালের নিচের দিকে দুই ফুট ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে যমুনার জল প্রবেশ করছে শশ্মানে।’ আর এই কারণেই দাহকার্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - গাড়ি, বাইক থেকে ফুটওয়্য়ার.. কোনটা দামি, কোনটা সস্তা? GST কাউন্সিলের বৈঠকে নজর
বিধ্বস্ত উত্তর ভারত
গত কয়েকদিন ধরে বন্যার জেরে বিধ্বস্ত উত্তর ভারত। উত্তর ভারতে বন্যায় বুধবার কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর রয়টার্সের। অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আরও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। দিল্লির নদীর তীর থেকে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই বছর প্রবল মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সাধারণের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর প্রভাবে শুধুমাত্র আগস্ট মাসে উত্তর ভারতে কমপক্ষে ১৩০ জন মারা গিয়েছেন। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বহু গ্রাম।
আরও পড়ুন - একগুচ্ছ মামলা, একটায় জামিন পেলেও পুজোতে জেলেই পার্থ! অন্যদিকে রাকেশ সিংহ…
জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড…
একে একে বন্যার কবলে পড়েছে উত্তর জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি। চেনাব ও তাবি নদীর জল বেশ কয়েকটি স্থানে বিপদসীমার উপরে উঠে গেছে। নদীগুলির স্রোতের জেরে ভূমিধস হয়েছে বেশ কিছু স্থানে। অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জম্মু ও হিমাচলের পার্বত্য অঞ্চলের কিছু অংশ ভারতের বাকি অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার এই অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশে আরও বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি রয়েছে।