ভারতের ওপর তাঁর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেই ফের একবার শুল্ক ইস্যুতে মুখ খুললেন ট্রাম্প। আর এবারেও তিনি তাঁর ফের পুরনো দাবিতেই অনড় রইলেন। এবারও বললেন, ভারত তাঁকে ‘বিনা শুল্ক’র প্রস্তাব দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়। শুল্ক নিয়ে তাঁর দক্ষতা কতটা তাও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
দ্য স্কট জেনিংস রেডিও শোতে একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ভারতকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শুল্কযুক্ত দেশ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে তাঁর শুল্ক কৌশল নয়াদিল্লিকে ছাড় দিতে বাধ্য করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘চিন আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে, ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে মারছে, ব্রাজিল আমাদের শুল্ক দিয়ে মারে। আমি তাদের চেয়ে শুল্ক ভালভাবে বুঝতে পেরেছি, আমি বিশ্বের যে কোনও মানবের চেয়ে শুল্ক ভালভাবে বেশি বুঝতে পেরেছি।’
এরপর তিনি ভারতের দ্বারা ‘বিনা শুল্ক’ চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার দাবি ফের তুলে ধরে বলেন, ‘ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শুল্কযুক্ত দেশ ছিল, এবং আপনি জানেন, তারা আমাকে ভারতে আর কোনও শুল্ক দেয়নি। বিনা শুল্ক। যদি আমার শুল্ক না চাপাতাম, তাহলে তারা কখনই সেই প্রস্তাব দিত না। ফলে আপনার শুল্ক থাকাই উচিত।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সপ্তাহের শুরুতে একই রকম দাবি পুনরাবৃত্তি করেছিলেন, সোমবার, তিনি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘সম্পূর্ণ একতরফা’ এবং ‘একতরফা বিপর্যয়’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন যে ‘তারা (ভারত) এখন তাদের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, 'খুব কম লোকই বোঝে যে আমরা ভারতের সাথে খুব কম ব্যবসা করি, কিন্তু তারা আমাদের সাথে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে। অন্য কথায়, তারা আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, আমরা তাদের সবচেয়ে বড় 'ক্লায়েন্ট', কিন্তু আমরা খুব কম বিক্রি করতে পারছি।' ট্রাম্প বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ একতরফা সম্পর্ক, এবং এটি বহু দশক ধরে চলে আসছে। কারণ হল ভারত আমাদের কাছ থেকে এত বেশি শুল্ক আদায় করেছে, যে আমাদের ব্যবসাগুলি ভারতে বিক্রি(চলতে) করতে অক্ষম।’
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারত ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হচ্ছে, যার পরে নয়াদিল্লি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার সাথে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক। এই পরিস্থিতিতে সদ্য চিন সফরে গিয়েছেন মোদী। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। হয় সাক্ষাৎ ও বৈঠক। এরপরই ফের একবার ভারত নিয়ে সরব ট্রাম্প।
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড)