নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় চার্জশিটে নাম ছিল তাঁর। সেই ভিত্তিতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ। নিম্ন আদালতে এবার সেই জামিন মঞ্জুর করা হল। পুজোর আগেই সিবিআইয়ের দায়ের করা উক্ত মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
একগুচ্ছ মামলা তাঁর নামে
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি ও সিবিআই আলাদা আলাদা করে তাঁর নামে মামলা দায়ের করে। শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে ধাপে ধাপে দুর্নীতির জন্য তাঁর নামে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের তরফেই একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাঁর নামে। তবে ইডির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের একটি মামলাতেও দেশের শীর্ষ আদালতে জামিন পান পার্থ।
আরও পড়ুন - বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে মারার হুঁশিয়ারি, বিতর্কে রায়নার তৃণমূল সভাপতি
পুজোর আগে কিছুটা স্বস্তি
বুধবার নিম্ন আদালতে আইনজীবীর মারফত হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। কিন্তু নিম্ন আদালত দুই পক্ষের বাদানুবাদ শোনার পর জামিন মঞ্জুর করে। ৭ হাজার টাকার ব্যক্তগত বন্ডে মঞ্জুর করা জামিন। তবে জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে ছাড়া পাবেন না পার্থ। কারণ মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলার কারণে জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। তাই পুজোর আগে অল্প স্বস্তি পেলেও উৎসব থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছেন।
আরও পড়ুন - এসএসসি নিয়োগ মামলায় আত্মসমর্পণ, জামিন চাইলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে
‘আমার জামিন দরকার নেই’
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে রাকেশ সিংকে। আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে রাকেশ সিং এদিন আদালতে বলেন, ‘আমার জামিনের দরকার নেই।’ বদলে তাঁর ছেলের সঙ্গে পুলিশের খারাপ ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, সেদিনের তিনটি সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হোক। ছেলেকে কেন গ্রেপ্তার করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাকেশ। তবে এর পাশাপাশি বিজেপি নেতা বলেন, তিনি পুলিশকে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবেন।