চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্তম্ভিত বাগদা। এক বাড়ির দুই বৌমা শ্বশুর-শাশুড়ি ও তাঁদের তিন মেয়েকে চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করলেন। আর তারপর প্রতিবেশী যুবক এক প্রেমিকের সঙ্গে প্ল্যালেন দুই জা। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওই দুই মহিলা। বুধবার গ্রেফতারের পর পুলিশের গাড়িতে বসেই তাঁরা স্বীকার করেন একই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ইনস্টায় প্রেম, স্বামী-সন্তান রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন বধূ
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। বাগদার বাসিন্দা দুই ভাই, ইয়াসিন শেখ এবং আনিসুর শেখ অভিযোগ করেন, তাঁদের স্ত্রীরা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে আসে প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লার নাম। আরিফের স্ত্রী-ও থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর স্বামী ওই দুই মহিলাকে নিয়ে পালিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাগদা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মঙ্গলবার রাতেই মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুই মহিলাকে পাকড়াও করে। তবে অভিযুক্ত যুবক আরিফ তখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে ধরতে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ভ্যানে বসে ধৃত ছোট বৌ নাজমা মণ্ডল বলেন, তাঁরা কাউকে মারতে চাইনি। চায়ে বিষ নয়, ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিলেন। শুধু চাইছিলেন পালানোর সময় যাতে কেউ আটকাতে না পারে। তাঁর বড় জা কুলচান মণ্ডলও স্বীকার করেন, ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিলেন। আর দু’জন একই প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সন্ধেয় বাড়ির সকলে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তাঁদের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা সন্দেহে পুলিশে খবর দেন। তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, আগেই পরিকল্পনা করেই দুই বৌমা ঘুমের ওষুধ জোগাড় করেছিলেন।জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বাগদা থানার তৎপরতায় দুই মহিলাকে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের সহযোগী আরিফ মোল্লার খোঁজ চলছে। খুব শিগগিরই তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।ধৃত দুই গৃহবধূকে বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।