শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। এই আবহে ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা চরিতার্থ’ করার অভিযোগ তুলেছে আজারবাইজানের। ভারতের বিরুদ্ধে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) নিজেদের সদস্যপদ স্থগিতের অভিযোগ করেছে আজারবাইজান। পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে নয়াদিল্লি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
দীর্ঘ সংঘাত পর্ব কাটিয়ে, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সখ্য বেড়েছে চিনের। এসসিও সম্মেলনে গিয়ে সেই বোঝাপড়ায় সিলমোহর দিয়ে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খুলল আজারবাইজান। চিনের তিয়ানজিনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে ‘জয়লাভে’র জন্য পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানান তিনি। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জানান, আন্তর্জাতিক মহলে যতই চাপ সৃষ্টি করুক না কেন ভারত, আজারবাইজান ও পাকিস্তানের সৌভ্রাতৃত্ব বজায় থাকবে। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কৌশলগত ভাবে দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বজায় থাকবে। বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরস্পরকে সাহায্যও করবে দুই দেশ।
আরও পড়ুন-মা'কে কুকথা বলায় গর্জে উঠলেন মোদী, মহুয়া মনে করালেন ‘দিদি ও দিদি’-র কথা
অন্যদিকে, সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার অভিযোগ তুলল আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম।এক প্রতিবেদনে তুর্কি দৈনিক ডেইলি সাবাহ বলেছে, আলিয়েভ দাবি করেন, আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে নয়া দিল্লির এমন পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাকু (আজারবাইজানের রাজধানী) ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘ভ্রাতৃত্ব’কে অগ্রাধিকার দেবে।তিনি আরও জানান, দুই দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গভীর। এমনকী বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে আজারবাইজান-পাকিস্তান আন্তসরকারি কমিশনের অধীনে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেন আলিয়েভ। এর আগে আজারবাইজানের টিভি চ্যানেল এনিউজ দাবি করে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্যতার জন্য আবেদন জানিয়েছিল আজারবাইজানের। কিন্তু আবারও বাকুর সেই আবেদনে বাধা গিয়েছে নয়া দিল্লি। বলা হয়, 'সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্যতায় ফের আজারবাইজানের আবেদন আটকে দিয়েছে ভারত।' তবে ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ওই প্রতিবেদনের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
আরও পড়ুন-মা'কে কুকথা বলায় গর্জে উঠলেন মোদী, মহুয়া মনে করালেন ‘দিদি ও দিদি’-র কথা
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দেয়, তাতে পাকিস্তানকে সমর্থন জানায় আজারবাইজানের। তখন আজারবাইজান জানিয়েছিল, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধিতে তারা উদ্বিগ্ন। এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আজারবাইজান-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতাও বাড়িয়েছে।আজারবাইজানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজও। আর্মেনিয়ার সঙ্গে শান্তিস্থাপনে আজারবাইজান যে তৎপরতা দেখিয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।