'আমার প্রয়াত মাকেও ছাড়ল না' - তাঁর মা'কে কুকথা বলার প্রসঙ্গে এভাবেই কংগ্রেস ও আরজেডিকে তুলোধনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই কুকথা নিয়ে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্যও তুলে ধরেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিহারে এক সমবায় সমিতির ভার্চুয়াল উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মা আমাদের সব, আমাদের দুনিয়া। মা হল আত্মসম্মান। বিহারের মতো ঐতিহ্য-পরম্পরায় সমৃদ্ধ রাজ্যে কিছুদিন আগে যা ঘটেছে, আমি কখনও কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি যে এমন ঘটনাও ঘটবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমার মাকে নিয়েও হেনস্তা করা হয়েছে। তাও আবার বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে। এটা শুধু আমার মায়ের অপমান নয়। এই অপমান আমার দেশের সব মা, বোন ও মেয়েদের অসম্মান। আমি জানি একথা শুনে বিহারের প্রতিটি মা-বোন কত দুঃখ পেয়েছেন, কত কষ্ট পেয়েছেন। আমি জানি আমার বুকের মধ্যেও কত কষ্ট লুকিয়ে রয়েছে, যেমনটা রয়েছে বিহারের মানুষের মধ্যে।' তিনি জানান, 'আমি জানি না, আমার মা, যিনি কোনওদিন রাজনীতি করেননি, রাজনীতির সঙ্গে যাঁর কোনও যোগ নেই, তাঁকে কেন ওরা টেনে আনল? তাঁকে কেন আরজেডি এবং কংগ্রেস হেনস্থা করল?'
মহুয়া মৈত্রের কটাক্ষ
এরপরেই প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডলে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে টিটকিরি দেওয়ার মতো করে দিদি ও দিদি বলে ডেকেছিলেন? সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেস কি বিধবা কিংবা জার্সি কাউ কটাক্ষ করেছিলেন? আবার শশী থারুরের স্ত্রীকে ৫০ কোটির গার্লফ্রেন্ড বলেছিলেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজিই তো এই মন্তব্যগুলি করেছিলেন। তার বেলা? এখন এসে আপনার মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ কথাটা ঠিক মেনে নেওয়া গেল না।'
ঘটনার সূত্রপাত
বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল বিহার থেকে।গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়ো ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ‘ভোটচুরি’র অভিযোগে বিহারে দীর্ঘ ১৩০০ কিলোমিটার ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। অভিযোগ, ‘ভোটার অধিকারের যাত্রা’ চলাকালীন দরভাঙ্গায় জেলার কংগ্রেসের পতাকা গায়ে জড়ানো এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর মা'কে উদ্দেশ করে অশ্লীল মন্তব্য করেন। ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিজেপি থানায় এফআইআর দায়ের করে এবং কংগ্রেসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।