অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নতুন ব্যান্ড ‘হুলি গান ইজম’ ইতিমধ্যেই তাদের নতুন গান দিয়ে সারা ফেলে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমের পাতায়। ৩১ অগস্ট তাঁরা মঞ্চে একটি গান গেয়েছিলেন, সেই গানের মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতির পরিসরে ঢুকে পড়েছিলেন অভিনেতা ও তাঁর ব্যান্ড। তাঁদের কটাক্ষের নিশানায় উঠে এসেছিল দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষ থেকে শতরূপ ঘোষদের নাম। এই গান স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়া জুড়ে শুরু হয় জোর চর্চা। তবে এই গান কুনাল ঘোষ নিজে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আর তা নিয়েই অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করতে, এবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে মুখ খুললেন কুনাল।
আরও পড়ুন: সাবিত্রীর সাজ নিয়ে কটাক্ষ! 'মনকে এখনও তেমন বুড়ো করে ফেলিনি যে, সাজব না…', জবাব বর্ষীয়ান অভিনেত্রী
তাঁকে ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য তাঁর এই সর্বশেষ গানটিতে রাজনৈতিক নেতাদের নাম একটু তির্যক, একটু টিপ্পনী -সহ ব্যবহার করেছেন, সেটা কেমন লাগল? আর দুই হচ্ছে, আমি যেহেতু ভালোই লেগেছে বলে পোস্ট করেছি, আমি কেন এটাকে ভালো বললাম? দেখুন অনির্বাণ ভট্টাচার্য তিনি অভিনেতা। তাঁর মঞ্চ অভিনয়, পর্দার অভিনয় আমি দেখেছি। কিন্তু এই গানটি সব মিলিয়ে ওঁদের যা পরিবেশনা তা দেখে আমার ভালোই লাগছিল।’
আরও পড়ুন: টুকটুকে লাল বেনারসী, হাতে পান চুপিচুপি বিয়ের পিঁড়িতে পর্দার ‘গরিমা’ লেখা?
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত তিনি যদি রাজনীতি ও সমকালীন ইস্যুকে গানে আনেন, সেক্ষেত্রে তিনি আনতেই পারেন। সেখানে আমার নাম রয়েছে। একটু তির্যক কিছু বিষয় রয়েছে। এই মজাটা তো নিতে হবে। দেখতে হবে ইস্যু তোলা, মজা, সেটা একটা জিনিস, আর ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ কাউকে অপমান করছে কিনা সেটা আর একটা জিনিস। আমার মনে হয়েছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর সহ শিল্পীরা যা করেছেন তার মধ্যে কোনও ইচ্ছাকৃত অপমানের উদ্দেশ্য নেই। তাহলে আমি খোলা মনে তাঁর চেষ্টাটাকে গ্রহণ করব না কেন? তাতে যদি ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু থাকে, তাহলে আমি কেন সেটা খোলা মনে নেব না? নতুন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট, নতুন মোড়কে পুরানো ধাঁচের গান, তার সঙ্গে সমকালীনতাকে মিশিয়ে দিয়ে অনির্বাণ যে চেষ্টা করেছেন তার সঙ্গে আমি অন্য কোনও ইস্যু মেশাব না। এই মজাটা নেওয়ার মানসিকতা কুনাল ঘোষের আছে। হ্যাঁ আমার ভালো লেগেছে।’