২০০৭ সালের ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। জল গড়িয়েছিল সিবিআই তদন্ত পর্যন্ত। প্রয়াত হলেন সেই রিজওয়ানুর রহমানের মা কিসওয়ার জাহান। বুধবার সন্ধেয় নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন কিসওয়ার জাহান। ৮১ বছর বয়সে অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় কাউন্সিলর নিবেদিতা শ্রমা ও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। রাত পৌনে দশটা নাগাদ রিজওয়ানুরের মায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো দিনের স্মৃতির কথাও উঠে আসে তাঁর শোকভাষ্যে।
কী ঘটেছিল ২০০৭ সালে?
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রিজওয়ানুর রহমানের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল রেললাইনের ধারে। তার পাশ থেকেই উদ্ধার করা হয় সুইসাইড নোট। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজুর করার পর ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাদের তদন্তে উঠে আসে কলকাতা পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের জড়িত থাকার ঘটনা। চার্জশিটে তৎকালীন প্রধান জ্ঞানবন্ত সিংহ এবং অজয় কুমারের নাম উল্লেখ করেছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন - একগুচ্ছ মামলা, একটায় জামিন পেলেও পুজোতে জেলেই পার্থ! অন্যদিকে রাকেশ সিংহ…
নদিয়ার চাপড়ার বিধায়ক রিজওয়ানুরের দাদা
রিজওয়ানুরের ঘটনার পর বেশ কয়েকবার তাদের পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার পর রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানুর তৃণমূলের হয়ে বিধানসভা ভোটে দাঁড়ান। নদিয়ার চাপড়ার বিধায়ক তিনি বর্তমানে। রিজওয়ানুরের দাদা রুকবানুরই দেখাশোনা করতেন কিসওয়ারকে। বুধবার তাঁর মৃত্যুর পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন - নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী! ১০ বছর বাড়ল কীসের সময়সীমা? কী ছিল আর কী হল,দেখুন একঝলকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকপ্রকাশ
এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘রিজওয়ানুর ও রুকবানুর রহমান - এর মা কিশওয়ার জাহানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।’ ইদের সময় নিয়মিত তাঁর বাড়ি যাওয়ার প্রসঙ্গও উঠে আসে পোস্টে। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘ওনার সাথে আমার গভীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। আমায় উনি আপনজন হিসেবে খুব ভালোবাসতেন। আমি প্রতি ঈদ-এ ওনার সাথে দেখা করতে যেতাম। কতো পুরোনো স্মৃতি আজ মনে আসছে। আমার হৃদয়ে উনি চিরদিন থাকবেন।’