সুন্দরবনের ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হল বাঘিনী ‘সোহানী’র। বুধবার দুপুরে মৃত্যু হয় বিখ্যাত এই বাঘিনীর। বয়স হয়েছিল প্রায় ২৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিল এই রয়েল বেঙ্গল টাইগ্রেস। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই বাঘিনীর নামকরণ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে তার মৃত্যুতে আলাদাভাবে নজর আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মিলল রয়্যাল বেঙ্গলের দেহ, বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু, দাবি বন বিভাগের
কয়েক মাস আগে মৃত্যু হয় সোহানীর সঙ্গী ‘সোহনে’। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, সঙ্গীর মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল বাঘিনী। ধীরে ধীরে খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বার্ধক্যের নানা শারীরিক জটিলতা। চোখেও ছানি পড়েছিল। বুধবার দুপুরে হঠাৎই শরীর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, তখনই চিকিৎসক দল চেষ্টা চালালেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে পশু চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল ঝড়খালি কেন্দ্রে গিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। এরপর বন দফতরের নিয়ম মেনে বাঘিনীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনও বাঘ বা বাঘিনীর মৃত্যু ঘটল। গত মাসেই সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পে মারা গিয়েছিল একটি পূর্ণবয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ফের আরেকটি প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বন দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রথম যে দু’টি বাঘ আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘সোহানী’। ২০১২ সালে কেন্দ্রটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই তিনি আদর করে এই বাঘিনীর নাম দেন ‘সোহানী’। সেই নামেই পরিচিত ছিল সে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে।