সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল এক পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেহ। শুক্রবার সকালে বনকর্মীরা টহলদারির সময় বনি ক্যাম্প লাগোয়া জঙ্গল থেকে বাঘটির মৃতদেহ দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রথমে অনুমান করা হচ্ছিল, হয়তো চোরাশিকারীদের ফাঁদে পড়ে মৃত্যু হয়েছে শার্দুল মহারাজের। তবে ময়নাতদন্তের পর বন দফতরের তরফে জানানো হয়, স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাঘটির।
আরও পড়ুন: ছাগলের টোপ দিয়ে সারারাত অপেক্ষা, কুলতলিতে ভোরে খাঁচাবন্দি হল সেই বাঘ
বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাঘটির বয়স ছিল আনুমানিক ১৪ বছর। এই বাঘটিরও একটি দাঁত সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল। ওই বয়সে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। যার ফলে শিকার ধরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে তার পক্ষে। কয়েক দিন ধরে সঠিক খাবার না পাওয়ায় ক্রমে দুর্বল হয়ে যায় বাঘটি। আর সেই শারীরিক দুর্বলতাই শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন বিভাগের আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, বাঘটির দেহ পরীক্ষা করে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, মৃত্যুতে কোনওরকম অসঙ্গতি নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক মৃত্যু। দাঁত ভেঙে যাওয়ায় শিকার করতে পারছিল না সে। ফলে ক্ষুধা ও বার্ধক্যের ভারেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মৃত বাঘটির দেহ উদ্ধার করে বনি ক্যাম্পেই আনা হয়। সেখানেই দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বন দফতর জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক রিপোর্টে যা উঠে এসেছে, তাতে কোনওরকম সন্দেহজনক দিক নেই। সুন্দরবনের অরণ্যে এই ধরনের স্বাভাবিক মৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু নয়। সুন্দরবনের অরণ্যে বাঘের সংখ্যা নিয়ে বরাবরই বিশেষ নজর রাখে বন দফতর। এবার এক পূর্ণবয়স্ক বাঘের মৃত্যু সেই সংখ্যায় সাময়িক ধাক্কা দিলেও, বন দফতরের দাবি। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা, এর সঙ্গে শিকারিদের যোগ নেই। যদিও বাঘের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন বন বিভাগ।