দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোর সময় অর্থাৎ দীপাবলি বা দিওয়ালির সময় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথার কথা সকলেই জানেন। তবে হয়তো অনেকেই জানেন না পিতৃপক্ষের ১৫ দিন বাড়িতে যদি প্রদীপ জ্বালান তাহলে বাড়ি থেকে দূর হবে সমস্ত নেতিবাচকতা।
প্রতিবছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হয়ে যায় পিতৃপক্ষ। পিতৃপক্ষ চলে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত। পিতৃপক্ষের শেষে শুরু হয় দেবীপক্ষ। মনে করা হয়, পিতৃপক্ষের এই ১৫ দিন পূর্বপুরুষরা উত্তরাধিকারীদের হাত থেকে জল খাওয়ার জন্য মর্ত্যে নেমে আসেন।
আরও পড়ুন: দশ হাতে দশ অস্ত্র নিয়ে অসুর নিধন করেন মা দুর্গা, জানেন কোন অস্ত্রের কোন মহিমা?
এই বছর পিতৃপক্ষ শুরু হবে আগামী ৭ তারিখ থেকে। এই সময় যদি আপনার পিতৃপুরুষ আপনার ওপর ক্ষুন্ন হন তাহলে কিন্তু আপনার জীবন থেকে চলে যাবে সমস্ত সুখ শান্তি। অর্থ সংকট ছাড়াও নিত্যদিনের অসুস্থতা থেকে কিছুতেই মুক্তি পাবেন না আপনি। তাই এই সময় পিতৃপুরুষদের খুশি রাখা ভীষণ জরুরী।
পূর্বপুরুষদের খুশি রাখার জন্য বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় প্রদীপ জ্বালাতে পারেন আপনি। যদিও এই একই কারণে ভূত চতুর্দশীতেও প্রদীপ জ্বালানো হয় বাড়িতে। তবে অনেকেই জানে না, পিতৃপক্ষতেও বাড়ির চারিদিকে প্রদীপ জ্বালালে বাড়ি থেকে সমস্ত নেতিবাচকতা দূর হয়ে যায়।
পিতৃপক্ষের সময় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম:
দক্ষিণ দিক: প্রত্যেকদিন সন্ধ্যেবেলা বাড়ির দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালাতে পারলে জীবন থেকে সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
সদর দরজা: পিতৃপক্ষ চলাকালীন প্রতিদিন সন্ধেবেলায় বাড়ির সদর দরজায় প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচকতা দূর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ৮ ঐশ্বরিক রূপের পুজো যা বদলে দেয় জীবন, জেনে নিন অষ্টলক্ষ্মীর মাহাত্ম্য
পূর্বপুরুষদের ছবির সামনে: পিতৃপক্ষের ১৫ দিন যদি আপনি পূর্বপুরুষদের ছবির সামনে প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালান তাহলে তাঁরা আপনার ওপর সন্তুষ্ট হবেন।
উত্তর-পূর্ব দিক: বাড়ির উত্তরপূর্ব কোণে যদি প্রদীপ জ্বালানো যায় তাহলে কিন্তু আপনার জীবন থেকে সমস্ত অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
অশ্বত্থ গাছ: পিতৃপক্ষ চলাকালীন অশ্বত্থ গাছের তলায় প্রদীপ জ্বালানো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে যদি গাছ না থাকে তাহলে যেখানে অশ্বত্থ গাছ পাবেন সেখানেই প্রদীপ জ্বালিয়ে আসবেন।
( এই প্রতিবেদন মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা )