এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আধার হলেন শক্তি, যিনি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রূপে বিরাজমান। ভারতের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমন বহু জাগ্রত দেবী মন্দির, যার হদিস হয়তো অনেকেই জানে না। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন ৬ দেবী মন্দিরের কথা, যেখানে একবার হলেও যাওয়া উচিত সকলের।
বৈষ্ণোদেবী মন্দির: জম্মুর বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কথা সকলেই জানেন। কাটরা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই মন্দিরে পৌঁছতে হয়। বৈষ্ণোদেবীকে দেবী মহালক্ষ্মীর অন্যরূপ বলে পুজো করা হয়। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের ভেতরে থাকা পবিত্র গুহা, যেখানে মহাকালী, মহা সরস্বতী এবং মহালক্ষ্মীর পুজো করা হয়।
চামুন্ডা দেবী মন্দির: কাঙ্গড়ায় অবস্থিত চামুন্ডা দেবীর মন্দিরে পুজো হয় মায়ের ভয়ঙ্কর রূপের। অশুভ শক্তির বিনাশ করে এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেবী রক্ষা করেন সেখানকার মানুষদের। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মা চামুন্ডা চন্ড ও মুন্ড নামে দুই রাক্ষসকে পরাজিত করে নেতিবাচক শক্তির বিনাশ ঘটান।
জ্বালা দেবী মন্দির: অগ্নির শিখা অর্থাৎ জ্বালা দেবীর মন্দিরটি মানুষকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। এই মন্দিরটি প্রাকৃতিকভাবে জ্বলে ওঠা অগ্নিশিখার জন্য বিখ্যাত। কোনও দাহ্য পদার্থ ছাড়াই এই মন্দিরের ফাটল থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয়, এই মন্দিরে স্বয়ং দেবী অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে সকলকে আলোর পথে চালিত করেন।
মনসা দেবী মন্দির: হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দির সেইস্থান যেখানে মানুষ তার নিজের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করার জন্য আসেন। এই মন্দিরের পাশে অবস্থিত একটি গাছে নিজের ইচ্ছে মাকে জানিয়ে যদি একটি সুতো বেঁধে দেওয়া যায় তাহলে সেই মনোকামনা পূরণ হবেই। ইচ্ছা পূরণ হলে সুতোটি খুলে গঙ্গা নদীতে ডুব দিতে হয় অথবা সুতোটি পবিত্র গাছের নিচে পুঁতে দিতে হয়।
কালকা দেবী মন্দির: দিল্লির কালকা দেবী মন্দিরে অবস্থিত মা কালী আজ ৩০০০ বছরের বেশি সময় ধরে ভক্তদের রক্ষা করে চলেছেন। মাকে দেখতে প্রতিদিন সারা ভারত, সারা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা ভিড় করেন।
ধরি দেবী মন্দির: এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের সবথেকে পবিত্র মন্দিরের মধ্যে একটি। এই মন্দিরে ভয়ঙ্কর রূপে বিরাজমান মা কালী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কোনওদিন যদি এই মন্দির থেকে মাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে মহাবিপর্যয় তৈরি হবে। মা কালীর মূর্তিটি কালো পাথর দিয়ে খোদাই করা এবং মায়ের মুখ সারাদিন বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে।