সেপ্টেম্বর মাস শুরু হতেই চারিদিকে শুধুই পুজো পুজো গন্ধ। দশ হাতে দশটি অস্ত্র নিয়ে অসুর নিধনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেবী দুর্গা। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, মায়ের হাতে ১০টি অস্ত্র থাকে ঠিকই কিন্তু সব অস্ত্র দিয়ে অসুর সংহার করেন না তিনি। এক একটি অস্ত্রের পেছনে রয়েছে এক একটি আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা।
আজ এই প্রতিবেদনে এক নজরে দেখে নিন মা দুর্গার ১০ হাতের ১০ অস্ত্রের তাৎপর্য
চক্র: দেবী দুর্গার মায়ের হাতে যে চক্রটি থাকে, সেটি আসলে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র। সুদর্শন চক্র ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক, তাই মায়ের হাতে এই চক্র থাকার অর্থ সৃষ্টির কেন্দ্রে তিনিই রয়েছেন। তবে শুধু এইটুকুই নয়, দেবী দুর্গার হাতে সুদর্শন চক্র ঐক্য এবং দৃঢ়তার প্রতীক বলে মনে করা হয়।
বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্র বজ্র দান করেছিলেন দেবী দুর্গাকে। এই বজ্র মানুষকে জাগতিক মোহ মায়া থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। হিন্দু মতে, দেবীর হাতে এই বজ্র সমস্ত মিথ্যা এবং অজ্ঞাতকে ধ্বংস করে সংসার থেকে।
ত্রিশূল: দেবী দুর্গাকে ত্রিশূল দান করেছিলেন তাঁর স্বামী মহাদেব। এই ত্রিশূল দিয়েই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন।
গদা: দেবী দুর্গাকে এই গদা দান করেছিলেন যমরাজ। এই গদা মানুষের সমস্ত মোহমায়াকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে তাকে এই জাগতিক মায়া থেকে মুক্ত করে। এই গদা আনুগত্য এবং ভক্তির প্রতীক।
শঙ্খ: মা দুর্গার হাতের শঙ্খ দান করেছিলেন বরুণ দেব। শঙ্খ ধ্বনির মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সমস্ত অশুভ শক্তি দূর হয়ে যায়।
তীর ধনুক: মাকে তীর ধনুক দান করেছিলেন পবনদেব। শুধু মহিষাসুর নয়, সমস্ত অসুরদের সংহার করার করার জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন মা দুর্গা।
খড়গ: মা দুর্গাকে খড়গ দান করেছিলেন ধর্মরাজ অর্থাৎ শনিদেব। মৃত্যুর প্রতীক এই খড়্গের সাহায্যে মা দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেছিলেন। এই খড়্গের হাত ধরেই হয় সমস্ত পাপের ন্যায় বিচার।
কুঠার: স্বয়ং বিশ্বকর্মা মা দুর্গাকে দান করেছিলেন কুঠার। এই কুঠার যেমন একদিকে সমস্ত নির্মাণের প্রতীক তেমন অন্যদিকে ধ্বংসের প্রতীক।
পদ্ম: স্বয়ং ব্রহ্মা পদ্ম দান করেছিলেন মা দুর্গাকে। এই পদ্ম সমস্ত জাগতিক চৈতন্যের বিকাশ ঘটায়।
সাপ: মা দেবীর এক হাতে বিরাজ করে সাপ, যা সমস্ত সাধনাকে পূর্ণতা দেয়। মাকে এই সাপ দিয়েছিলেন মহাদেব।