ঘর ঝাড়ু দেওয়া এবং সেই ঝাড়ু সঠিকভাবে রাখা বাস্তুশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভুলভাবে ঝাড়ু রাখলে তা ঘরে নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করতে পারে এবং আর্থিক ক্ষতি ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।
১. ঝাড়ু রাখার সঠিক দিক
দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রাখুন: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, ঝাড়ু রাখার সবচেয়ে ভালো দিক হলো বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ। এই দিকে রাখলে এটি নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে এবং বাড়িতে আর্থিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
উত্তর-পূর্ব দিকে রাখবেন না: বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়, কারণ এই দিকে দেব-দেবীর বাস। তাই এই কোণে ঝাড়ু রাখা উচিত নয়। এতে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন - যোগনিদ্রায় পাশ পরিবর্তন করছেন বিষ্ণু, ৬ রাশির বাড়বে সঞ্চয়, অফিসে বড় সুখবর
সোজা করে রাখবেন না: ঘর ঝাড় দেওয়ার পর ঝাড়ু কখনো সোজা করে দাঁড় করিয়ে রাখবেন না। এটি অশুভ বলে মনে করা হয় এবং এর ফলে আর্থিক চাপ বাড়তে পারে। সবসময় ঝাড়ু মাটিতে শুইয়ে রাখুন।
২. ঝাড়ু কোথায় রাখবেন
চোখের আড়ালে রাখুন: ঝাড়ু সবসময় এমন জায়গায় রাখা উচিত, যা সহজে সবার চোখে পড়ে না। ঘরের প্রবেশদ্বার বা অতিথিদের বসার জায়গায় ঝাড়ু রাখা খুবই অশুভ।
রান্নাঘরে রাখবেন না: রান্নাঘরকে মা অন্নপূর্ণার স্থান হিসাবে ধরা হয়। তাই রান্নাঘরে ঝাড়ু রাখলে মা অন্নপূর্ণা রুষ্ট হতে পারেন, যা খাদ্য এবং অর্থের অভাব ঘটাতে পারে।
বেডরুমে রাখবেন না: বেডরুমে ঝাড়ু রাখা সম্পর্কের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে পারে এবং মানসিক অশান্তি নিয়ে আসতে পারে।
৩. ঝাড়ু ব্যবহারের কিছু নিয়ম
সন্ধ্যার পর ঝাড়ু দেবেন না: সূর্যাস্তের পর বা সন্ধ্যায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এতে ঘরে থাকা শুভ শক্তি এবং ধন-সম্পদ বাইরে চলে যায়।
আরও পড়ুন - ৫০ সাল বাদে চন্দ্রগ্রহণে বক্রী শনি! দণ্ডনায়কের অশুভ প্রভাব এড়াতে করুন এই কাজ
ঝাড়ুতে পা দেবেন না: কখনো ঝাড়ুকে পা দিয়ে স্পর্শ করা উচিত নয় বা এর উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া উচিত নয়। ঝাড়ুকে লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে ধরা হয়, তাই এর অসম্মান করা অশুভ।
পুরোনো ঝাড়ু বদল: অমাবস্যা, শনি অমাবস্যা বা দিওয়ালীর আগে পুরোনো ঝাড়ু ফেলে নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করা শুভ বলে মনে করা হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।