পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ একই দিনে হলে এর প্রভাব অনেক গভীর হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুমতে, এই সময়ে কিছু অশুভ শক্তি সক্রিয় হতে পারে। গ্রহণের পর কিছু নিয়ম মেনে চললে সেই অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কী করবেন গ্রহণের পর?
১. গ্রহণের পর স্নান - গ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্নান করা অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীর ও মনকে শুদ্ধ করে। মনে করা হয়, গ্রহণের নেতিবাচক শক্তি স্নানের মাধ্যমে শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। বিশেষ করে, পবিত্র নদীতে বা জলে স্নান করলে তা আরও ফলপ্রসূ হয়। সম্ভব না হলে স্নানের জলে সামান্য গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করুন।
আরও পড়ুন - ৫০ সাল বাদে চন্দ্রগ্রহণে বক্রী শনি! দণ্ডনায়কের অশুভ প্রভাব এড়াতে করুন এই কাজ
২. ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা - স্নান করার পর পুরো ঘর ঝাড়পোঁছ করে পরিষ্কার করা উচিত। প্রতিটি কোণায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিলে ঘরের পরিবেশ শুদ্ধ হয় এবং নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। সম্ভব হলে ঘরের মেঝেতে লবণ জল দিয়ে মুছলে তা আরও ভালো ফল দেয়।
৩. দেব-দেবীর পূজা ও দান - গ্রহণের সময় যেহেতু দেব-দেবীর পূজা করা হয় না, তাই গ্রহণের পর মন্দিরের দেব-দেবীদের মূর্তি শুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে নতুন করে পূজা করা উচিত। এই সময়ে ভগবান বিষ্ণু বা শিবের মন্ত্র জপ করলে মনের শান্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, গ্রহণের অশুভ প্রভাব কাটাতে অন্ন, বস্ত্র বা অর্থ দান করা খুবই পুণ্যের কাজ। গরিব ও দুঃস্থদের দান করলে তা সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন - যোগনিদ্রায় পাশ পরিবর্তন করছেন বিষ্ণু, ৬ রাশির বাড়বে সঞ্চয়, অফিসে বড় সুখবর
৪. তুলসী গাছের যত্ন - গ্রহণ চলাকালীন তুলসী গাছ ঢেকে রাখা হয়। গ্রহণের পর এই গাছগুলোকে জল দিয়ে শুদ্ধ করে তার সামনে একটি প্রদীপ জ্বালালে শুভ শক্তি ফিরে আসে।
৫. শুভ কাজের সূচনা - গ্রহণের পর নতুন কোনো শুভ কাজ শুরু করার আগে উপরের নিয়মগুলো মেনে নেওয়া উচিত। এর ফলে কাজটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং কোনো বাধা আসে না।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।