মহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে তাঁর বাবার প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন নিজেরা শীর্ষে থাকতে এবং বাকিরা নীচে থাকুক। তিনি আরও বলেছিলেন যে, লতা মিথ্যা বলেছিলেন যে তাঁর বাবা ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং তিনিই নিজেই আসলে ক্ষমা চেয়েছিলেন। শাহিদ আশা ভোঁসলের উপর রেগে গিয়ে বলেন যে, অন্তত বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁর লজ্জা করা উচিত।
ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আশা ভোঁসলে ও লতা মঙ্গেশকরের তীব্র সমালোচনা করেন মহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ। বলেন, তাঁর বাবার তাঁর সময়ের পুরুষ গায়কদের সঙ্গে কোন সমস্যা ছিল না, কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রফি-পুত্র বলেন, ‘তারা ঈর্ষা করত যে, রফি সাহেব তাঁদের উপরে আছেন। তাঁরা চাইতেন সবাই নীচে থাকুক। মানুষ তাঁকে এক নম্বর বলছে, এটা তাঁরা মানতে পারতেন না। আমি কোথাও শুনেছি যে তিনি নাকি নয় বছর ধরে ঘরে বসে ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। দয়া করে থামুন! ১৯৭০-এর দশকে তিনি যে গানগুলি গেয়েছিলেন তা শুনুন।’ শাহিদ এই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে, তাঁর বাবার সংক্ষিপ্ত অবসর স্ব-আরোপিত ছিল। কারণ একজন ধর্মযাজক তাঁকে গান গাওয়ার জন্য পাপী বলেছিলেন। পরে তিনি কয়েক বছর পর আবার এই শিল্পে যোগ দেন।
শাহিদ এরপর লতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘লতাজি মারা যাওয়ার আগেও আমি এই কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আব্বা তার কাছে গিয়ে বলেন, 'লতাজি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার পতন আসছে, কেউ আমাকে গান দিচ্ছে না। আমি আবার আপনার সঙ্গে গান গাইতে চাই।' আমার বাবা এ কথা বলেননি। বরং লতাজি তাই বলেছিলেন। দু'জন লোক আব্বার কাছে এসে বলল, 'রাফি সাহেব, তাঁকে ক্ষমা করে দিন'। আব্বা তখন শীর্ষে থাকায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই আব্বা যে নেই, সেই সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরলাম। আমার বাবা যেই হোক না কেন, তাঁকে নিয়ে কেউ কথা বলবে তা আমি বরদাস্ত করব না। আমার বাবা ছিলেন আমার বাবা। আপনাদের জানিয়ে রাখি, রাজকীয়তা নিয়ে লতা ও রফির মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। লতা গানের জন্য রয়্যালটি পেতে চেয়েছিলেন যখন রফি এর বিরুদ্ধে ছিলেন।’
এরপর আশা ভোঁসলের উদ্দেশে শাহিদ বলেন, ‘আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ। এই বয়সে এসে আপনার একটু লজ্জা হওয়া উচিত। ঈশ্বর সবকিছু দেখছেন। আমার বাবার সম্পর্কে কেউ খারাপ কথা বললে আমি সহ্য করতে পারি না। আপনার বয়স হয়েছে। নিজের সম্পর্কে কথা বলুন।’