ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আঙুল তুলেছে আমেরিকা। সেই ইস্যুতে ভারতের ওপর সদ্য বাড়তি ২৫ শতাংশের শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। এই প্রেক্ষাপটে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কে খুব একটা বসন্তের হাওয়া বইছেনা! এই পরিস্থিতিতে সদ্য চিনের সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে এসসিও সামিটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিকে, সদ্যই ইউরোপের দেশ জার্মানির সফরে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এরপরই ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন দের লেইয়েনের সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফোনে কথা হয়।
এদিন ইউরোপিয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্য়ান্টনিও কোস্টা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েনের সঙ্গে যৌথ টেলিফোনিক কনফারেন্সে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে এই ফোনালাপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ভন ডের লেইন X-এ একটি পোস্টে লেখেন,'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা বলতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে ভারতের অব্যাহত যোগাযোগকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।' একইসঙ্গে তিনি লেখেন,'রাশিয়াকে তার আগ্রাসনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং শান্তির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।' উল্লেখ্য, এই রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়েই মার্কিন শুল্ক-কোপ পড়ে দিল্লির ওপর। ট্রাম্পের প্রশাসন মোট ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক ধার্য করে ভারতের ওপর। সেই জায়গা থেকে ইউরোপের দুই তাবড় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মোদীর আজকের ফোনালাপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, ইইউ প্রধান বলেছেন যে উভয় পক্ষ ‘২০২৬ সালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরবর্তী ইইউ-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে একটি যৌথ কৌশলগত এজেন্ডা’ নিয়ে একমত হওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি ‘বছরের শেষ নাগাদ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা শেষ করার’ প্রতিশ্রুতি লিয়েন ফের একবার দিয়েছেন। তবে তিনি বলছেন, এক্ষেত্রে ‘অগ্ররতি জরুরি’। এর আগে সদ্যই ইউরোপ সফরে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর সাফ জানান, ভারত চাইছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের মুক্তি বাণিজ্যের সমঝোতা ‘সিদ্ধান্তমূলক উপসংহারে’ পৌঁছক তাড়াতাড়ি।
এদিকে, ইউরোপিয় কাউন্সিল ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রধানরা, দ্বিপাক্ষিক ভাবে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, স্থায়িত্ব, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের, ভারত-ইউ পরবর্তী সামিটে আসার জন্য ভারতে আমন্ত্রণ করেন মোদী। অফিসারদের মতে, ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচ আগামী মাসে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সাথে আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড)