উত্তরাখণ্ড থেকে হিমাচলপ্রদেশ, দিল্লি থেকে পাঞ্জাব। উত্তর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যই প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এমন বিধ্বস্ত পরিস্থিতির জন্য এবার গাছ কাটার প্রবণতাকেই দায়ী করল দেশের শীর্ষ আদালত। বেআইনি গাছ কাটার কারণেই একের পর এক গ্রাম ভেসে যাচ্ছে বন্যার জেরে। সুপ্রিম কোর্ট এদিন একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে বলে, বন্যার জলের সঙ্গে কেটে রাখা গাছ ভেসে যাচ্ছে। বেআইনিভাবে যথেচ্ছ পরিমাণে গাছ কাটার জন্যই এই প্রতিকূলতা দেখা দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
প্রায় চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হচ্ছে পাঞ্জাব। ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই সেই প্রসঙ্গেই বেআইনি গাছ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিকে "অভূতপূর্ব" বলে উল্লেখ করেন। আদালতে এই দিন দেশের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, ‘আমরা উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবে অভূতপূর্ব ভূমিধস এবং বন্যা দেখেছি। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, বন্যায় প্রচুর পরিমাণে কাঠ ভেসে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় বেআইনিভাবে গাছ কাটার কারণেই এমনটা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন - মা-মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার বর্ধমানে, মৃত্যু ঘিরে রহস্য, ময়নাতদন্তের অপেক্ষা
জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে নির্দেশ বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি পাহাড়ের পরিবেশগত অবক্ষয় নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। প্রসঙ্গত মামলাটি উঠেছিল প্রধান বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায় এটি একটি গুরুতর বিষয়। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের কাছ থেকে দুই সপ্তাহের এই বিষয়ে জবাব চেয়েছে আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও জানাতে হবে বিশদে।
আরও পড়ুন - পপকর্ন মিমে ইতি টানল নয়া GST! নতুন ব্যবস্থায় কত কর গুণতে হবে?
সলিসিটর জেনারেলকে বিশেষ নির্দেশ
এই প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে যোগাযোগ করতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পাশাপাশি জলে এত বিপুল সংখ্যক কাঠ কেন ভাসছে তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। মিঃ মেহতা এদিন জানান, তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করবেন । তাদের কাছে বিস্তারিত তথ্যের জন্য অনুরোধ করবেন।