বৃহস্পতিবার বিকেলে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম। তাঁর প্রয়াণবার্তার পরই তাঁর শোকপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। গত বেশ কিছুটা সময় ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। আর সেই অসুস্থতার চিকিৎসা করতেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাফিকুল ইসলাম।
এদিকে, শহরে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বিধানসভা। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শেষ হতেই শোকবার্তা আসে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে। এদিকে, বিধায়কের মৃত্যুর পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ডোমকল এলাকার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। অন্যদিকে, জাফিকুল ইসলামের প্রয়াণ বার্তা শুনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা জানান। তিনি লেখেন,' তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।' একইসঙ্গে মমতা লেখেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি, এবং তাঁর শোকাহত পরিবার, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি অন্তর থেকে গভীর সমবেদনা জানাই।’
( Modi on GST: ‘নাগরিকদের আর ব্যবসার জন্য সহজ হয়েছে’, জিএসটি 2.0র প্রশংসায় মোদী)
জানা যায়, গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাফিকুল। দীরঘ দিন ধরেই তাঁকে সারিয়ে তোলার যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষমেশ প্রয়াত হন তৃণমূলের এই সদস্য। স্বভাবতই মুর্শিদাবাদের এই তাবড় নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ডোমকলের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জাফিকুল। সিপিএম প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে হারিয়ে তিনি বিধায়ক হন। এরপর দীর্ঘ অসুস্থখতার জেরে তিনি সেভাবে বিধানসভার বহু অধিবেশনে যোগে দিতে পারেননি।