শিক্ষকের মারধরে একসঙ্গে অসুস্থ বহু ছাত্রী! পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এই ঘটনা ঘটে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, অষ্টম শ্রেণির ক্লাসে প্রবেশ করেই ছাত্রীদের ওপর বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন স্কুলের এক ইংরেজি শিক্ষক। তাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশ কয়েকজন ছাত্রী। এর মধ্যে ২১ জনকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের চড়ের জের, ২ কানে শুনতে পাচ্ছে না ছাত্র, অভিযোগ পরিবারের
ঘটনাটি ঘটেছে অস্তিচক সুরেন্দ্র যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিপ্লব পণ্ডা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনার ক্লাস নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই একের পর এক ছাত্রীকে বেত্রাঘাত শুরু করেন। অভিযোগ, তীব্রভাবে আঘাত পেয়ে কয়েকজন ছাত্রী মাথা ঘোরানো ও বমির মতো উপসর্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, বহু পড়ুয়া আতঙ্কে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়েছে।
অভিযোগের কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশাপাশি অন্য শিক্ষকদেরও তালাবন্দি করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে উত্তেজনা। স্কুল চত্বরে ভিড় জমায় গ্রামবাসীরাও। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান ওঠে। খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর অভিভাবকদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বিপ্লব পণ্ডাকে। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিভাবক ও অভিভাবক সংগঠনগুলির দাবি, যে শিক্ষক ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না, তাঁর হাতে ক্লাসরুমের দায়িত্ব থাকা উচিত নয়। কঠোরতম শাস্তি দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। এ ঘটনায় শিক্ষা মহলেও আলোড়ন তৈরি হয়েছে।