দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে চড় মারার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার জেরে কয়েকদিন ধরে দুই কানে শুনতে পাচ্ছে না ওই পড়ুয়া। এই অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারপাড়া এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক চড় মারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। গতকাল ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন তার অভিভাবকরা। সেখানে চড় মারার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক চড় মারার কথা অস্বীকার করেছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। চড় মারার ঘটনার পরেই ছাত্রটি ভয় পেয়ে যায় ছাত্রটি। বাড়ি ফিরে প্রথমে সে কাউকে কিছু জানায়নি। এরপর ছাত্রটির জ্বর আসে। পরের দিন ছাত্রটি চড় মারার কথা পরিবারের সদস্যদের জানায়। এরপরেই ছাত্রের অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। তবে চড় মারার কথা অস্বীকার করেছে ওই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হল বিধান রায়। তিনি ওই স্কুলের প্যারাটিচার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। ওই শিক্ষকের বক্তব্য, তিনি ছাত্রটিকে চড় মারেননি। পড়া চলাকালীন আচমকা ওই ছাত্রটি কান ধরে দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই সময় তার কান থেকে তিনি হাত সরিয়ে দিয়ে বসিয়ে দেন। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে ওই ছাত্রটি। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যে আতঙ্কে চিৎকার করছে সে। পাশাপাশি দুটো কানেই শুনতে পাচ্ছে না। সোমবার তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, ছাত্রটির কানে কী সমস্যা হয়েছে তা বাইরে থেকে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে না। পরীক্ষা করা হলে তা বোঝা যাবে।