পুজোর আগে গ্রামাঞ্চলে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে অভিনব পথে হাঁটল হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। উৎসবের মরশুমে শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাতেই চুরি-ছিনতাই, ডাকাতির আশঙ্কা বাড়ে। বাজারে কেনাকাটা কিংবা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লে অনেক বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকে, আর সেটাই হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীদের সহজ টার্গেট। সেই সম্ভাবনা আটকাতে পুলিশের বিশেষ কৌশল এবার ‘সাইকেল টহল অভিযান’।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায়? এই নম্বরে মেসেজ করুন! হেল্পলাইন রাজ্য পুলিশের
গত কয়েকদিন ধরে বাগনান, উলুবেড়িয়া-সহ হাওড়া গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশকর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ দল। চার-পাঁচ জনের ওই টিম রাতে সাইকেলে চেপে ঢুকে পড়ছে গ্রামের সরু গলি আর আঁধারাচ্ছন্ন পাড়ায়। লক্ষ্য একটাই ছিনতাইবাজ, চোর, ডাকাতদের আগেভাগেই চিহ্নিত করে ফেলা এবং অপরাধের ছক ভেস্তে দেওয়া। হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানিয়েছেন, গ্রামের ভেতরে চুরি হলে গাড়ি নিয়ে পৌঁছনো কঠিন হয়ে পড়ে। বড় রাস্তায় ধাওয়া করা সহজ হলেও সরু গলিতে তা সম্ভব নয়। তাই সাইকেল ব্যবহার করাই সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। তাঁর কথায়, এই উদ্যোগের ফলে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে পারছে। এতে অপরাধ রোখা সম্ভব হবে, পাশাপাশি গ্রামবাসীর ভরসাও বাড়বে। শুধু দুর্গাপুজো নয়, শীতকালেও গ্রামে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বাড়ে। রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে গৃহস্থকে মারধর করে লুটপাট চালানোর মতো ভয়ঙ্কর ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। তাই উৎসবের আগে থেকেই পুলিশ মাঠে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
বাগনান থানার আইসি অভিজিৎ দাস জানিয়েছেন, থানায়ও এই অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় টিম গিয়ে টহল দিয়েছে। এসপি স্যারের নির্দেশেই এই কাজ হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি থানায় আলাদা আলাদা টিম গড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা নামতেই তারা সাইকেলে টহল শুরু করছে। শুধু অপরাধীদের ধরাই নয়, গ্রামের মানুষকে সচেতন করতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।