'রঘু ডাকাত'-এর 'বেঙ্গলস বিগেস্ট কার্নিভাল' -এর আবহেও পর্দায় এখনও 'দেশু' ম্যাজিক অব্যহত। ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের আবহে মুক্তি পেয়েছিল দেব-শুভশ্রীর বহুল প্রতীক্ষিত ছবি 'ধূমকেতু'। শনিবার অর্থাৎ ২২ দিন পর্যন্ত বক্স অফিসে ‘ধূমকেতু’ মোট কত আয় করল? তা দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন ছবির প্রযোজক রানা সরকার।
ফের দেব ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে মনমালিন্য। তবে এর মধ্যেও বাংলার সিনে-প্রেমিরা এখনও চুটিয়ে উপভোগ করছেন দেব-শুভশ্রী জুটির বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’। এই ছবি মুক্তির আগে থেকেই অ্যাডভান্স বুকিং ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দিনে প্রায় ২ কোটির বেশি আয় হয়েছিল। চারদিনে প্রায় ১০ কোটির বেশি টাকা ঘরে তোলে 'দেশু' জুটির এই ছবি। দ্বিতীয় সপ্তাহে এই ছবির আয় ছিল ২১.৩৬ কোটি টাকা। আর এবার প্রকাশ্যে এল 'ধূমকেতু'র তিন সপ্তাহের বক্স অফিস কালেকশন।
শনিবার রানা সরকার তাঁর পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেন। সেখানে তিনি জানান 'ধূমকেতু' ২২ দিনে মোট ২৩.৭৯ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে। তিনি আয়ের অঙ্ক শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘৩০ পার হবে কি?’ আসলে তিনি বলেছিলেন ৩০ পার হলেি ফিরবে দেশু। কিন্তু এই পোস্টে তিনি দেব, ছবির পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায় এবং অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে ট্যাগ করেন তিনি। কিন্তু শুভশ্রীকে ট্যাগ করেননি প্রযোজক। দেব-শুভশ্রীর সম্পর্কের অবনতি কি এর কারণ? তা অবশ্য জানা যায়নি। এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি 'দেশু'কে দেখা যাবে?
আরও পড়ুন: ৯৯ টি বাড়ি আছে মিকা সিংয়ের? 'জমি কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না…', বিনয়োগের পরামর্শ দিলেন গায়ক
গত ২২ অগস্ট বাংলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও 'ধূমকেতু' মুক্তি পেয়েছে। তবে জাতীয় স্তরে এই ছবি কত আয় করেছে তা আলাদা করে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। রানা সরকারও সেই বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আনেননি।
প্রসঙ্গত, ১০ বছর বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখেনি অনুরাগীরা। কারণ দেব-শুভশ্রী কেবল পর্দায় জনপ্রিয় জুটিই নয়, একটা সময় বাস্তবেও চুটিয়ে প্রেম করতেন তাঁরা। তা ছিল ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেট। তবে পড়ে মতের অমিল থাকায় পথ হয় আলাদা। নেমে আসে বিচ্ছেদ। যদিও বিচ্ছেদের পরই ‘ধূমকেতু’তে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু 'ধূমকেতু'ও সেই সময় নানা জটিলতায় মুক্তি পায়নি। কিন্তু ১০ বছর ধরে 'দেশু' অনুরাগীরা জ্বালিয়ে রেখেছিল 'ধূমকেতু' আঁচ। দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে নির্মাতারা সব জটিলতা কাটিয়ে ১০ বছর পর এই ছবি মুক্তি দিতে সক্ষম হলেন। এখন হলে হলে দেব-শুভশ্রীর নস্টালজিয়ায় ভাসছেন বাংলার সিনে-প্রেমিরা।